Toll Tax System: হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে আর টোল ট্যাক্স দিতে হবে না ? আসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি- বড় ঘোষণা নীতিন গডকড়ীর
GPS Toll Tax System: নীতীন গডকরী জানিয়েছেন, সড়কে ভ্রমণ করার সময় যে পরিমাণ দূরত্ব কোনও ব্যক্তি ভ্রমণ করছেন, তাঁর সমান টোল ট্যাক্সের টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে।
GPS Toll Tax System: কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী নীতীন গডকরী জানিয়েছেন যে খুব শীঘ্রই দেশের সমস্ত সড়কগুলিতে টোল ট্যাক্স সংগ্রহের পদ্ধতিতে স্যাটেলাইটের ব্যবহার করা হবে। এখন যেভাবে টোল সংগ্রহ করা হয়, তা বন্ধ হয়ে যাবে। গত বছর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসেই নীতীন গডকরী জানিয়েছিলেন যে, ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকেই NHAI সড়েকগুলিতে টোল সংগ্রহের (GPS Toll Tax System) নয়া নিয়ম চালু করবে।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই কেটে নেওয়া হবে টোল ট্যাক্স
সংবাদসংস্থা এএনআইকে নীতীন গডকরী জানিয়েছেন, সড়কে ভ্রমণ করার সময় যে পরিমাণ দূরত্ব কোনও ব্যক্তি ভ্রমণ করছেন, তাঁর সমান টোল ট্যাক্সের (GPS Toll Tax System) টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে। তিনি এও উল্লেখ করেন যে আগে মুম্বই থেকে পুনে যেতে ৯ ঘণ্টা লাগত, সেখানে মাত্র ২ ঘণ্টাতেই এই একই দূরত্ব চলে যাওয়া সম্ভব।
জিপিএস ভিত্তিক টোল ট্যাক্স সিস্টেম কীভাবে কাজ করে
খুব শীঘ্রই আগামীতে চালু হতে চলেছে এই জিপিএস ভিত্তিক টোল ট্যাক্স সংগ্রহের পদ্ধতি। জাতীয় সড়কে যে সমস্ত গাড়ি চালক গাড়ি চালাবেন, তাঁদের টোল দেওয়ার জন্য আর প্লাজায় দাঁড়াতে হবে না। গাড়ির মালিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আপনা থেকেই টাকা কেটে নেবে।
জিপিএস ভিত্তিক টোল সংগ্রহের (GPS Toll Tax System) পদ্ধতিতে চলমান গাড়ির যে জিপিএস স্থানাঙ্ক পাওয়া যাবে, তা থেকে গাড়ির দিকনির্দেশ বুঝে গাড়িটি যখনই কালেকশন পয়েন্টে পৌঁছাবে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে। আর এই জন্য সমস্ত গাড়িতেই নম্বর প্লেট থাকা বাধ্যতামূলক আর এই নম্বর প্লেটই জিপিএসের মাধ্যমে ট্র্যাক করা হবে। সড়কগুলিতে নম্বর প্লেট পড়ার জন্য সক্ষম রিডার ক্যামেরা বসানো হবে, আর সেভাবেই টাকা কেটে নেওয়া হবে গাড়ির মালিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে।
এখন টোল আদায় হয় FASTag-এর মাধ্যমে
এখন হাইওয়েতে টোল আদায়ের (GPS Toll Tax System) জন্য ব্যবহার করা হয় FASTag ব্যবস্থা। ২০২১ সাল থেকে গাড়িতে এই FASTag লাগান বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এই FASTag-এর মধ্যে ছোট্ট একটি RFID চিপ লাগান আছে, যা কিনা টোল বুথ রিডারের সঙ্গে কানেক্ট করে। ২০১৮-১৯ সালে টোল প্লাজায় যে কোনও গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হত গড়ে ৭১৪ সেকেন্ড, FASTag আসার পরে এই সময় কমে হয়েছে ৪৭ সেকেন্ড। একইসঙ্গে যেমন এই পদ্ধতিতে জ্বালানি খরচ কমছে, তেমনই মানুষের সময়ও বাঁচছে অনেকটাই।
আরও পড়ুন: Maruti Suzuki: ৪ লাখ কোটির বাজার মূলধন ছাড়াল মারুতি, আরও কী বাড়বে শেয়ারের দাম ?