Ankita Adhikary: পরেশ কন্যা অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু
Ankita Adhikary Updates: ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশের কপি পৌঁছেছে কোচবিহারের জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে। এতদিন পর্যন্ত যা বেতন পেয়েছেন অঙ্কিতা, তার হিসেব জমা দেওয়া হবে।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, মেখলিগঞ্জ : হাইকোর্টের নির্দেশের পরই পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikary) বেতন বন্ধ। পরিচালক সমিতির বৈঠকে তাঁর বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় অঙ্কিতাকে বরখাস্ত ও বেতন বন্ধের নির্দেশ। ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশের কপি পৌঁছেছে কোচবিহারের জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে। আগেই জানা গিয়েছে, এতদিন পর্যন্ত যা বেতন পেয়েছেন অঙ্কিতা, তার হিসেব জমা দেওয়া হবে।
অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া-
জানা গিয়েছে, গতকালই কোচবিহারের ডিআই অফিসে উচ্চ আদালতের নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। সেই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলে। এবং আজকে সেইমতো স্কুলের পরিচালন সমিতির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে অঙ্কিতা অধিকারীর যে বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত, তা কার্যকরী করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এই মাস থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পরেশ কন্যার বেতন। এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, আজকে স্কুলের পরিচালন সমিতির বৈঠতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অঙ্কিতা অধিকারীকে স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত করারও প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন - Paresh Adhikary Update: ম্যারাথন জেরার পর কোচবিহারে পরেশ, মন্ত্রীকে সম্বর্ধনা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের
অঙ্কিতা অধিকারী যে স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন সেই মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বাসুনিয়া জানাচ্ছেন যে, কত টাকা অঙ্কিতাকে ফেরত দিতে হবে, তার হিসাব এবং নির্দেশ এখনও পর্যন্ত তাঁরা পাননি। এই নির্দেশগুলি যত তাড়াতাড়ি আদালতের পক্ষ থেকে তাঁরা পাবেন, তত তাড়াতাড়ি প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য, আদালতের একটি নির্দেশই তাঁদের কাছে এসেছে। যে, এই মাস থেকেই অঙ্কিতা অধিকারীর বেতন বন্ধ হচ্ছে এবং স্কুলের পরিচালন সমিতির বৈঠকে সেটিই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari) তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে সেই বছর ২৪ নভেম্বর তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা কোচবিহারের ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকার পদে নিযুক্ত হন। তাই তিনি শিক্ষিকা পদে ৪১ মাস কাজ করে যে বেতন পেয়েছেন, তার পুরোটাই ফেরত দিতে হবে। আপাতত তিনি এই সময়কালে ঠিক কত টাকা পেয়েছেন সেটারই হিসেব কষা শুরু করে ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।