Chaiti Ghoshal: 'নন্দিনী' এবার নাট্য-নির্দেশক, নতুন ভূমিকায় চৈতি ঘোষাল! নিয়ে আসছেন 'রক্তকরবী'
Rokto Korobi: এই নাটক নিয়ে চৈতি ঘোষাল বলছেন, 'রক্তকরবীতে আমি এতদিন ধরে অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু এবারে আমি রক্তকরবী পরিচালনা করছি'

কলকাতা: চেনা নাটক, নতুন আঙ্গিক। চৈতি ঘোষালের হাত ধরে মঞ্চে ফিরতে চলেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নাটক রক্তকরবী। সঙ্গীত পরিচালনায় রয়েছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। আগামী ৫ এপ্রিল অ্যাকাডেমিতে রক্তকরবীর প্রথম শো।
'তোমাদের ঐ সুড়ঙ্গের অন্ধকার ডালাটা খুলে ফেলে তার মধ্যে আলো ঢেলে দিতে ইচ্ছে করে, তেমনি ইচ্ছে করে ঐ বিশ্রী জালটাকে ছিঁড়ে ফেলে মানুষটাকে উদ্ধার করি'। যক্ষপুরী থেকে মুক্তি। প্রতিবাদের পথ ধরে ভালোবাসার জয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘রক্তকরবী’ একদিকে যেমন প্রতিবাদের কথা বলে, তেমনই আরেক দিকে ভালবাসার ছোঁয়ায় মুক্তির গান শোনায়। এই ‘রক্তকরবী’কেই নতুন করে মঞ্চস্থ করতে চলেছেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল। একসময় ‘রক্তকরবী’তে নন্দিনীর চরিত্রে নিয়মিত অভিনয় করতেন চৈতি। এবার নাটকের নির্দেশনা এবং সম্পাদনায় তাঁর হাতেখড়ি হতে চলেছে।
এই নাটক নিয়ে চৈতি ঘোষাল বলছেন, 'রক্তকরবীতে আমি এতদিন ধরে অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু এবারে আমি রক্তকরবী পরিচালনা করছি। রক্তকরবী-র সংলাপে রয়েছে, 'আমি নারী বলে আমাকে ভয় কোরো না। বিদ্যুৎশিখার হাত দিয়ে ইন্দ্র তাঁর বজ্র পাঠিয়ে দেন। আমি সেই বজ্র বহন করে এনেছি। ভাঙবে তোমার সর্দারির সোনার চূড়া।' ‘রক্তকরবী’ নাটকে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। তিনি বলছেন, 'চৈতী অসম্ভব ভালভাবে নাটকটা নির্মান করার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। আমরা এটা প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে দেখছি।' রক্তকরবী মঞ্চস্থ করার আগে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে চৈতি ঘোষাল ছাড়াও ছিলেন সাহিত্যিক আবুল বাশার, প্রচেত গুপ্তরা। ৫ এপ্রিল, অ্যাকাডেমিতে চৈতি ঘোষালের নির্দেশনায় ‘রক্তকরবী’র প্রথম শো।
নাটকের মঞ্চে এই প্রথমবার পরিচালক নির্দেশক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও, বড়পর্দায় আগেই পরিচালনায় হাতেখড়ি হয়ে গিয়েছে চৈতী ঘোষালের। তাঁর পরিচালনায় এবার অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta) ও অমর্ত্য রায় (Amartya Ray)। তৈরি হয়ে গিয়েছে নতুন ছবি 'নেভার মাইন্ড' (Never Mind)। এই ছবির পরিচালনায় দায়িত্বে রয়েছেন, এমএস প্রোডাকশন ৭৪ (MS Productions 74) ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
অমর্ত্য চৈতির পুত্র, এই কথা অজানা নয় কারও। তবে এটিই অমর্ত্যর প্রথম ছবি নয়। বড়পর্দায় এর আগেও কাজ করেছেন অমর্ত্য। তবে এবার মায়ের পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে অমর্ত্যকে। আর মা-ছেলের এই কাজের দোসর ঋতুপর্ণা। এই ছবির গল্প এক নারীকে ঘিরে, যে তাঁর অতীতের একটি বিষয় খুঁজতে খুঁজতে হাজির হয় একটি বার বা পানশালায়। আর সেখানেই তাঁর দেখা হয় একজন অল্পবয়সী সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে। সে বারে গান গায়। এই ছবিতে কলকাতার কিছু মানুষদের গল্প তুলে ধরা হবে, যাদের পেশা আলাদা, জীবনের দিকগুলো আলাদা। তাঁদের নিয়েই এই গল্প 'নেভার মাইন্ড'। এই ছবিতে পার্ক স্ট্রিটের জীবনযাত্রা, ধরণ, তুলে ধরা হবে সব কিছুই। গল্পের শেষ হবে একটি মানবিক বার্তা দিয়ে। এই ছবির গল্প লিখেছেন সম্রাট। চিত্রনাট্য লিখেছেন সম্রাট ও মিতালি ঘোষাল রুদ্র। ছবির সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে দেখা যাবে গোপী ভগতকে। ছবির আবহসঙ্গীত ও গানের দায়িত্ব রয়েছে রূপম ইসলাম (Rupam Islam)-এর কাঁধে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
