Gold Shop Dacoity:রামপুরহাটে সোনার দোকানে ডাকাতি, টানটান উত্তেজনা শেষে ধৃত ৪ দুষ্কৃতি
4 Arrested At Rampurhat: বৃহস্পতিবার সন্ধেয় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় রামপুরহাটে শেষমেশ গ্রেফতার চার দুষ্কৃতি। টানটান উত্তেজনার পর তাদের গ্রেফতার করা যায়। উদ্ধার হয়েছে একটি ওয়ান শটার।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও নান্টু পাল, বীরভূম: বৃহস্পতিবার সন্ধেয় সোনার দোকানে ডাকাতির ( Gold Shop Dacoity) ঘটনায় রামপুরহাটে (Rampurhat) শেষমেশ গ্রেফতার চার দুষ্কৃতি (4 Miscreants Arrested)। টানটান উত্তেজনার পর তাদের গ্রেফতার করা যায়। উদ্ধার হয়েছে একটি ওয়ান শটার। চুরি যাওয়া প্রায় সব সোনা এবং রূপোরও হদিস মিলেছে। তবে পুলিশের ধারণা, গোটা ঘটনায় আরও কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে। তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।
কী ঘটেছিল?
গত কাল সন্ধের ওই ঘটনা ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছড়িয়েছিল রামপুরহাটে। খবর মেলে, রামপুরহাট থানার নিউটাউন এলাকায় রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি, সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসেছে একদল দুষ্কৃতি। আজ সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নিউটাউনের কাছে একটি সোনার দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করতে ঢোকে চার-পাঁচ জনের একটি ডাকাত দল।র সেই সময় দোকান মালিকের তৎপরতায় এলাকার বাসিন্দারা ঘটনস্থলে এসে ডাকাতদের ঘিরে ফেলেন। পরে পুলিশে খবর যেতে দোকানটি চার দিক থেকে ঘিরে ফেলেন রামপুরহাট থানার পুলিশকর্মীরাও। দোকানের চারপাশে তখন রীতিমতো রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ডাকাতের দল, বাইরে থেকে তাদের ঘিরে ফেলেছে পুলিশবাহিনী। কী ভাবে তাদের বের করা যায়, তার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। অবশেষে ধরা পড়ল চারজন। বাকিদের খোঁজ চলছে।
আগেও এক ঘটনা...
গত বছর অগাস্টে, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরেও এক ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকনগরের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার নুরপুর বাজারে পরপর ২টি সোনার দোকানে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। সিভিক ভলান্টিয়ার ও নৈশ রক্ষীদের বেঁধে রেখে লুঠপাট চালানোর অভিযোগ। দুষ্কৃতী দলে ১৫ জন ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুধু লক্ষাধিক টাকার গয়না লুঠই নয়, দুষ্কৃতীরা দোকানের সিসিটিভি-র হার্ড ডিস্ক নিয়ে পালায় বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। ঠিক তার পরের মাসে, ক্রেতা সেজে ভর দুপুরে ডানকুনিতে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে! সোনার দোকানের ভিতরে ক্রেতা সেজে ২ দুষ্কৃতী, পরে আসে আরও ৩জন। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নামকরা সোনার দোকানে ৬ দুষ্কৃতী চড়াও। দোকানের বাইরে বাইকে অপেক্ষায় ১ দুষ্কৃতী, ভিতরে ৫ দুষ্কৃতী। দোকানের নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করে দোকানে ঢুকে লুঠ। দোকানের কর্মীদের অস্ত্র দেখিয়ে সোনা লুঠ করে চম্পট। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ক্রেতাদের দোকান থেকে বের করে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতিরা। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ।