Recruitment Scam: ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের
Calcutta High Court:আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে স্থগিতাদেশ।

সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের। ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে স্থগিতাদেশ। যদিও নিয়োগ প্রক্রিয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতই করতে হবে। অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানাল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।
২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের। প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আজ তারই রায় ঘোষণা হল, চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ জানানো হলেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে, জানাল ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলাকারীদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'নিয়োগ বাতিল যা বলেছিল, তাতে পুরো স্থগিতাদেশ। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ৩ মাসের মধ্যে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ওটা হবে। এইভাবে চাকরি খাওয়া যায় না। না শুনে চাকরি খাওয়া যায় না। চাকরিহারাদের বক্তব্য না শুনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই কারণেই স্থগিতাদেশ।'
বিজেপির প্রতিক্রিয়া:
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, অন্তর্বতী স্থগিতাদেশের অর্থ এটা নয় যে দুর্নীতি হয়নি। এটাও নয় যে এদের চাকরি ভবিষ্যতে যাবে না। যাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ ছিল তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাঁদের কথা শোনা উচিত। আবার যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদেরও কথা শোনা হোক। আমরা চাই এই আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হোক। যোগ্যরা চাকরি পাক, যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছেন তাঁদের চাকরি যাক।'
কী বলছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য:
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'যে ব্যাপারটা নিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন সেটা হচ্ছে, নির্ণয় প্রক্রিয়ার মধ্যে দুর্নীতি হয়েছে। তার জন্য নতুন করে তাঁদের যোগ্যতামান নির্ণয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই আদেশ কিন্তু অক্ষুণ্ণ রয়েছে। যেটুকু স্থগিতাদেশ হয়েছে তা হল যাঁরা চাকরি করছিলেন তাঁদের প্যারাটিচারের মাইনে দেওয়া হত, সেটা না হয়ে তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন পাবেন। এছাড়া আর কিছু হয়নি। তাঁরা যদি পরবর্তীকালে নির্ণয়ে যোগ্য না হল তাহলে তাঁদের চাকরি চলে যাবে।'
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি পরবর্তী পর্যায়ে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য মেনুতে কোন কোন খাবার অবশ্যই রাখবেন?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
