(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Recruitment Scam Case: CBI-এর পর এবার ED-র নজরে, সোমবারই হাজিরার নির্দেশ তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে
TMC MLA: CBI-এর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পাওয়ার ৩ মাসের মাথায় সোমবার জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
প্রকাশ সিন্হা, শিবাশিস মৌলিক ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে এবার তলব করল ইডি। সোমবার তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, নবম-দশমে নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে তলব করা হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI-এর পর এবার ED-র নজরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। CBI-এর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পাওয়ার ৩ মাসের মাথায় সোমবার জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ED সূত্রে খবর, নবম-দশমে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় তলব করা হয়েছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, এই মামলায় আর্থিক লেনদেনের তথ্য়প্রমাণ পাওয়া গেছে। জীবনকৃষ্ণর মাধ্য়মে কয়েক জনের চাকরি হয়েছিল বলেও জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'জামিন পেয়েছেন। নির্দোষ প্রমাণিত হননি। মামলা শেষ হয়ে যায়নি। অভিযোগ থেকে তিনি মুক্ত হতে পারেননি। জামিন পাওয়ার অর্থ এটা নয় যে, অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে ডাকবে না। কারণ এখনও পর্যন্ত ইডি ও সিবিআই যেখানে যেখানে পৌঁছেছে এবং যাদের ডেকেছে সেখানেই গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিছু আবার পেয়েছে ডাকছে। মানুষ এখনও ভরসা রাখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপরে। এবার তো শেষ হোক।'
অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'ইডি এতদিন ধরে তাহলে করলটা কী ? এতেই তো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিয়েছে, সেটা হজম হয়নি ইডির। এই ইডি মোদির নির্দেশে-বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এটা আরও পরিষ্কার হচ্ছে।'
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত বছরের ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণর কান্দির বাড়ি ও দোকানে হানা দেয় CBI। রঘুনাথগঞ্জে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও তল্লাশি চলে। তল্লাশি শুরু হওয়ার পরই তৃণমূল বিধায়ককে নজরবন্দি করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তল্লাশি চলাকালীন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর দু'টি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে পুকুর ছেঁচে মোবাইল ফোন দু'টি উদ্ধার করা হয়।
এরপর গত বছরের ১৭ এপ্রিল ৬৭ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে CBI। গত বছরের জুলাইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গ্রেফতারির ১৩ মাস বাদে চলতি বছরের ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক।
এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে জামিনে মুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।