TET Agitation: বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা, অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন
Lady Constable Accused: টেট বিক্ষোভকারীকে কামড়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত মহিলা কনস্টেবলের বিরুদ্ধে সকাল পর্যন্তও কোনও এফআইআর রুজু হল না। লালবাজার সূত্রে খবর, ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থারও খবর নেই।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: টেট বিক্ষোভকারীকে (TET Agitation) কামড়ে (Bite) দেওয়ায় অভিযুক্ত মহিলা কনস্টেবলের (lady constable) বিরুদ্ধে আজ সকাল পর্যন্তও কোনও এফআইআর (FIR) রুজু হল না। লালবাজার সূত্রে খবর, ইভা থাপা নামে ওই পুলিশকর্মীর (police) বিরুদ্ধে আপাতত কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা (disciplinary action) গ্রহণ করারও খবর নেই। এদিকে, যে বিক্ষোভকারীকে তিনি কামড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই অরুণিমা পাল-সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
সকালে যা হল...
ডেপুটি কমিশনার (সাউথ)-র 'ট্যাক' টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করেন ইভা থাপা। সাধারণত ডিসি (সাউথ) যখন কোনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার কাজে এগোন বা ভিআইপি গতিবিধি নজরদারি করেন, তখন তাঁর পাশে থাকে এই 'ট্যাক' টিম। সাধারণ পোশাকেই থাকেন এই টিমের পুলিশকর্মীরা। এরকমই একটি টিম গত কাল কর্মরত ছিল যেখানে কাজ করছিলেন ইভা থাপা। এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা পড়ে, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী দৌড়ে এসে অরুণিমা পালের হাত কামড়ে দিলেন। যদিও পুলিশের দাবি, তার আগে অরুণিমাই ইভার হাত কামড়ে দিয়েছেন যার মেডিক্য়াল রিপোর্ট এসএসকেএমে তৈরি হচ্ছে। প্রথমে অরুণিমাকে আটক করা হয়, তার পর হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে গিয়ে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। পরে মেডিক্যাল কলেজেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। রাতে অরুণিমাকে গ্রেফতার করা হয়। অরুণিমা-সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ৩৫৩ নম্বর ধারা অর্থাৎ কর্তব্যরত অবস্থায় সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগও। কিন্তু এখানে কতগুলি প্রশ্ন তুলছেন বিক্ষোভকারীরা। কোনও ছবি না থাকা সত্ত্বেও স্রেফ ওই পুলিশকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে ও তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে জামিন অযোগ্য ধারায় অরুণিমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল। কিন্তু যেখানে ইভা থাপার কামড়ানোর ছবি রয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হল না?
কী ঘটেছিল?
টেট বিক্ষোভে আক্রান্তকেই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার! চাকরি চেয়ে পুলিশের কামড় খেলেন যে চাকরিপ্রার্থী, তাঁকেই গ্রেফতার করল পুলিশ! আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল-সহ আরও ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এ দিন রাতে ৩০ জন বাদে বাকি চাকরিপ্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে। এক্সাইড মোড়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত-বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে বুধবার। ঝরে রক্ত। চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বেশ কিছু বিক্ষোভকারী। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বের করে পুলিশ। পুলিশের তাড়া খেয়ে বহু চাকরিপ্রার্থী ক্যামাক স্ট্রিটের দিকে দৌড়ে যান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দফতরের সামনে শুরু হয় অবস্থান। তারপর বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে তুলে দেয়। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮২ জন চাকরিপ্রার্থীকে।