Kolkata News:পরিত্য়ক্ত জলের বোতল দিয়েই বাহারি ফুলের টব, দেবতার মূর্তি! প্রবীণের সৃষ্টিশীলতার 'কিছুই যায় না ফেলা...'
Retired Clerk Makes Creative Use Of Used Bottle:কবিগুরু সেই কবে লিখে গিয়েছেন, 'জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা, ধুলায় তাদের যত হোক অবহেলা।' এই লাইনদুটিকেই কি আপ্তবাক্য় করে নিয়েছিলেন পার্থসারথি গঙ্গোপাধ্যায়?
জয়ন্ত পাল, কলকাতা: কবিগুরু সেই কবে লিখে গিয়েছেন, 'জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা, ধুলায় তাদের যত হোক অবহেলা।' এই লাইনদুটিকেই কি আপ্তবাক্য় করে নিয়েছিলেন পার্থসারথি গঙ্গোপাধ্যায়? না হলে পরিত্যক্ত জলের বোতল (Used Water Bottle) দিয়ে বাহারি ফুলের টব (Designer Flower Basket), এমনকি ঠাকুরের মূর্তি (Idol) গড়া! এও কি সম্ভব? বিশ্বাস না হলে স্বচক্ষে দেখে আসতে পারেন। নিজের হাতে পরিত্য়ক্ত জলের বোতল দিয়ে একের পর এক দুরন্ত সৃষ্টি করে চলেছেন এই প্রবীণ।
সৃজনশীল...
বয়স ৬৮ বছর। কাজ করেছেন হাওড়া কোর্টের ক্লার্ক হিসেবে। নেহাতই সাদামাঠা জীবন। কিন্তু পাড়ার মানুষের অত্যন্ত কাছের লোক তিনি। পার্থসারথি নামটির থেকে রানা নামেই বেশি পরিচিত। জনপ্রিয়ও বটে। কারণ? ফেলে দেওয়া জলের বোতল, যার আর কোনও কাজে লাগারই তেমন সম্ভাবনা নেই, তাকে স্রেফ নিজের প্রতিভা ব্যবহার করে অন্য রূপ দিয়েছেন পার্থসারথি। কখনও দুর্গামূর্তি, কখনও কালীমূর্তি কখনও আবার গণেশ ঠাকুর জীবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর হাতের কাজে যার মূল উপাদান ছিল ওই পরিত্য়ক্ত জলের বোতল। শুধু ঠাকুরের মূর্তি নয়, একই জিনিস দিয়ে বাহারি ফুলের টবও তৈরি করেছেন তিনি। পাল্টে দিয়েছেন পাড়ার চেহারা-ছবি। তাঁর হাতের কাজের সুনাম এখন ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে। খ্যাতি এতটাই যে সে সব দেখতে বহু দর্শক দূর দূরান্ত থেকে পার্থসারথির বাড়িতে এসে ভিড় জমিয়েছেন। দর্শকদের কারও বাড়ি বাগুইআটি, কেউ বা তেঘরিয়ার বাসিন্দা। কেউ কেউ আবার আরও দূর থেকে এসেছেন। এছাড়া আশপাশের মানুষজন তো রয়েছেনই। স্বচক্ষে এমন হাতের কাজ দেখে মুগ্ধ তাঁরা। ঘন ঘন ছবি তুলছেন। প্রত্যেকের মুখেই উনিশ-বিশ এক কথা। 'আমরাও যাতে এরকম শিখতে পারি সেই কারণেই দেখতে এসেছি। কোনও বাদ যাওয়া জিনিস ফেলে না দিয়ে এভাবেও যে ব্যবহার করা যেতে পারে তা একেবারে শেখার মতো। এই বয়সেও থেমে নেই তিনি। একের পর এক নতুন নতুন কাজ করে চলেছেন যা চোখে পড়ার মতো', বলে চলেছেন মুগ্ধ ভক্তের দল।
মণ্ডপসজ্জায় নানা উপকরণ...
এমনিতে এ রাজ্যে দুর্গাপুজোর মণ্ডপসজ্জায় নানা ধরনের উপকরণের ব্যবহার প্রতি বছরই তাক লাগিয়ে থাকে দর্শকদের। গত বছর যেমন চোরবাগান সর্বজনীনের পুজোমণ্ডপ সাজানো হয়েছিল রকমারি কাচ দিয়ে। আর সে জন্য মণ্ডপের নানা অংশে ব্য়বহার করা হয়, বোতল, শিশি, কাচের ভাঙা টুকরো ইত্যাদি। কিন্তু ৬৮ বছরের প্রৌঢ় যা করে চলেছেন তা কোনও নির্দিষ্ট উৎসবের কথা মাথায় রেখে নয়। স্রেফ সৃজনশীল ভাবনা থেকে পরিত্যক্ত জিনিসের অভিনব ব্যবহার কী ভাবে আশপাশের চেহারা-ছবি বদলে দিতে পারে, তারই নমুনা তৈরি করছেন তিনি।
আরও পড়ুন:'DA বাড়বে না', বিস্ফোরক মন্তব্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের