Bankura Weather: ফিরল শীতের আমেজ, কনকনে ঠান্ডায় বাঁকুড়ায় দুরন্ত ব্যাটিং উত্তুরে হাওয়ার
Bankura Weather Forecast: বছর শেষে ফিরবে শীতের আমেজ। কলকাতার তাপমাত্রা নামতে পারে ১৫ ডিগ্রির নীচে।
কলকাতা: ফিরল শীতের আমেজ। এক ধাক্কায় ৬ ডিগ্রি নামল পারদ। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। ভোরের দিকে কুয়াশা থাকলেও, বেলা বাড়তেই পরিষ্কার আকাশ।
ভৌগলিক অবস্থান (Bankura Gepgraphical Situation): পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তর্গত একটি শহর। এই শহর বিষ্ণুপুর শহর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থান। প্রাচীন যুগে বাঁকুড়া জেলা ছিল রাঢ় অঞ্চলের অধীনস্থ। বাঁকুড়া জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুর বিভাগের অন্তর্গত পাঁচটি জেলার অন্যতম একটি জেলা। এই জেলার উত্তরে ও পূর্বে বর্ধমান, দক্ষিণে পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ-পূর্ব হুগলি এবং পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা। দামোদর নদ বাঁকুড়া ও বর্ধমান জেলাদুটিকে পৃথক করেছে। জেলার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও উর্বর পলিমাটিযুক্ত। পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে। এই অঞ্চলে স্থানে স্থানে ছোটোখাটো টিলা দেখতে পাওয়া যায়। দামোদর নদ এই জেলার উত্তর সীমানা দিয়ে বয়ে গেছে।
আপেক্ষিক জলবায়ু: বাঁকুড়ার গ্রীষ্মে খুব উষ্ণ জলবায়ু এবং শীতকালে ততটাই শীতল তাপমাত্রা থাকে। বৃষ্টিপাত বেশিরভাগ জুন থেকে সেপ্টেম্বর এবং বার্ষিক পরিমাণ প্রায় ১৫০০ মিমি মধ্যে হয়। ২০১৯-এ এই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ জানুয়ারি ২০১৩-তে ৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়া গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুর অন্তর্গত। চরমতম আবহাওয়া থাকে এই জেলায়। গ্রীষ্মকালে যতটা তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়, শীতকালেও তেমন তাপমাত্রার পারদ পতন হয়।
বাঁকুড়ার আজকের আবহাওয়া (Bankura Weather):
বাঁকুড়ায় আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা গতকালের থেকে ১ ডিগ্রি কম। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে সর্বাধিক ৪৮ শতাংশ, ন্যূনতম ২৪ শতাংশ। কিছুটা বেড়েছে আর্দ্রতার পরিমাণও।
অন্যান্য
সূর্যোদয়-ভোর ৬.৫২
সূর্যাস্ত- বিকেল ৬.১৬
চন্দ্রোদয়- বিকেল ৩.১৫
চন্দ্রাস্থ- ৪.৪৩
বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather)
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ ও কাল পারদ নামলেও, শনি ও রবিবার তাপমাত্রা বাড়বে। ফলে বছর শেষ ও বর্ষবরণে শীতের আমেজ বজায় থাকলেও, জাঁকিয়ে ঠান্ডার সম্ভাবনা নেই।