UPSC Success Story: ১২ বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় ডান হাত বাদ, অদম্য জেদে দ্বিতীয় চেষ্টাতেই UPSC জয় পার্বতীর- কীভাবে প্রস্তুতি নিতেন ?
Success Story: মাত্র ১২ বছর বয়সে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় পার্বতীর ডান হাত বাদ চলে যায়। কিন্তু এই ঘটনা তাঁকে দমাতে পারেনি। নিজের পড়াশোনায় অবিচল থাকেন তিনি, এবারে শিখে নেন কীভাবে বাঁ হাতে লেখা যায়।

Success Story: অদম্য জেদে স্বপ্নপূরণ। প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে সাফল্যের নিশান ওড়াল কেরালার মেয়ে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে ইউপিএসসি উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। কেরালার আলাপ্পুজায় জন্ম (UPSC Success Story) ও বেড়ে ওঠা তাঁর আর এবারে সেই জেলারই গর্ব বাড়ালেন তিনি। ইউপিএসসি উত্তীর্ণ হয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে কোচিতে যোগ দেন কেরালার পার্বতী গোপাকুমার (Parvathi Gopakumar)। তাঁর এই সাফল্যের কাহিনি অনুপ্রাণিত করবে আপনাকেও।
মাত্র ১২ বছর বয়সে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় পার্বতীর ডান হাত বাদ চলে যায়। কিন্তু এই ঘটনা তাঁকে দমাতে পারেনি। নিজের পড়াশোনায় অবিচল থাকেন তিনি, এবারে শিখে নেন কীভাবে বাঁ হাতে লেখা যায়। একেবারে নার্সারিতে পাঠরত শিশুর মত সপ্তম শ্রেণির সেই বালিকা নতুন করে আবার লেখা শিখতে থাকে। স্লেটে আর কার্সিভ রাইটিং বইয়ে লেখা অভ্যাস চলতে থাকে বাঁহাতে। তাঁর যদিও একটি কৃত্রিম হাত লাগানো হয়েছিল ডানদিকে। কনুইয়ের নিচ থেকে লাগানো হয়েছিল এই কৃত্রিম হাত। তাঁর কথায়, 'আমার ডান হাত নেই, কিন্তু বাঁহাত অক্ষত আছে। দেখুন কীভাবে আমি জীবন কাটিয়েছি'। আজ থেকে ১৫ বছর আগে ২০১০ সালে এই দুর্ঘটনা ঘটে আর তারপর আজ পনেরো বছর পরে সাফল্যের শীর্ষে পার্বতী।
এভাবেই দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হন পার্বতী, তারপরে মানবীবিদ্যা নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হন তিনি। বেঙ্গালুরুতে এরপর তিনি আইন পড়তে আসেন। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। এর পর থেকেই সিভিল সার্ভিসের স্বপ্ন দানা বাধে তাঁর মনে আর সেই পথেই শুরু হয় নিরন্তর যাত্রা। ২০২৩-২৪ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের চেষ্টাতেই ২৮২ র্যাঙ্ক অধিকার করেন। তাঁকে কেরালা ক্যাডারে সুযোগ দেওয়া হয় এবং কোচিতে একজন অ্যাসিস্টান্ট কালেক্টর হিসেবে তাঁর তাঁর প্রথম পোস্টিং হয়।
সোমবার তাঁর প্রথম পোস্টিংয়ের পরে তাঁর বাবা কে এস গোপাকুমার এবং মা শ্রীকলা এস নায়ার যিনি পেশায় একজন স্কুলশিক্ষিকা, অভিভূত হয়েছেন এই সাফল্যে। কেরালার আলাপ্পুজা জেলায় একজন ডেপুটি তহশিলদার হিসেবে কাজ করতেন তাঁর বাবা। আর এভাবে প্রথম পোস্টিংয়ে নিজের বাড়ির কাছে কাজের সুযোগ পেয়ে পার্বতী যারপরনাই আনন্দিত। মাত্র ২৭ বছর বয়সে আজ পার্বতী গোপাকুমার একজন অ্যাসিট্যান্ট কালেক্টরই শুধু নন, বরং বহু মানুষের কাছে তিনি অনুপ্রেরণার সামিল। মানুষ যে দৃঢ়তার সঙ্গে তাঁর স্বপ্নের পিছনে ছুটে যেতে পারে তার জন্য আশার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছেন পার্বতী গোপাকুমার।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI






















