WB First Phase Voting: এবার উন্নয়নের খেলা, ঝাড়গ্রামে ৪-০ জিতবে তৃণমূল, ভোট দিয়ে দাবি ছত্রধরের
ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লালগড় কেন্দ্রের বুথে ভোট দিলেন ছত্রধর মাহাতো । সস্ত্রীক ভোট দিতে যান তিনি। ছত্রধর মাহাতো বলেন, "১১ বছর পর আবার ভোট দিতে এলাম। তাই অনুভূতিটা অন্যরকম। এর আগে আমি ভোট দিয়েছি। কিন্তু তখন আমার দল ক্ষমতায় ছিল না।
হিন্দোল দে, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লালগড় কেন্দ্রের বুথে ভোট দিলেন ছত্রধর মাহাতো । সস্ত্রীক ভোট দিতে যান তিনি। ছত্রধর মাহাতো বলেন, "১১ বছর পর আবার ভোট দিতে এলাম। তাই অনুভূতিটা অন্যরকম। এর আগে আমি ভোট দিয়েছি। কিন্তু তখন আমার দল ক্ষমতায় ছিল না। কিন্তু এইবার যখন ভোট দিতে এলাম তখন আমার দল ক্ষমতায় আছে। আবারও ক্ষমতায় আসবে। শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তাই অনুভূতিটা অন্যরকম। দলের দুর্দিনে ছিলাম, এখনও দলে রয়েছি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে মর্যাদা দিয়েছেন, এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। এজন্য নিজেকে নিংড়ে দিয়ে দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি।"
এনআইএ-র নোটিশ সত্ত্বেও তিনি তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হননি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ সম্পর্কে ছত্রধর বলেছেন, হাজিরা দিচ্ছেন না, এমনটা নয়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি, তা আদালত ও এনআইএ-কে জানিয়েছি। কারণও জানিয়েছি। আমি আইনে আস্থাশীল। আদালতকে সম্মান করি। আমাকে বলা হয়েছে, তাই এনআইএ-র সম্মুখীন হয়েছি।
ছত্রধর আরও বলেছেন, আমি ১০ বছর জেলে ছিলাম। যে মামলা চলছিল, বিচারাধীন, সেই মামলা হাতে নিয়ে নেওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারধীন মামলা, তাই এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
ঝাড়গ্রাম জেলায় ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে ফলাফলের নিরিখে বিজেপি তাদের পায়ের জমি শক্ত করে। এ ব্যাপারে ছত্রধরের দাবি, এবার কিন্তু তৃণমূলই জিতবে ৪-০ তে। তিনি বলেছেন, এখানেই খেলা হবে, উন্নয়নের খেলা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এগিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ১১ বছর পর ২০২০-র শুরুতে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন ছত্রধর।
ছাড়া পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য স্তরের কমিটিতে নেওয়া হয় তাঁকে। দলের রাজ্য সম্পাদক করা হয় তাঁকে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে জঙ্গলমহলে জোর ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। এজন্য রাজ্য বিধানসভা ভোটের কঠিন লড়াইয়ের আগে রাজনৈতিকভাবে অনেকটা দুর্বল হয়ে যাওয়া জঙ্গলমহলে ফের জোড়াফুলের জমি শক্ত করার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে।