Sonu Sood Anti-Covid Drugs Case: গুণমান যাচাই না করেই সাধারণ মানুষের কাছে করোনার ওষুধ যাচ্ছে? আইনি জালে সোনু সুদ
এবার আইনের জালে করোনাকালের 'মসিহা'! ওষুধ যাচাই না করেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে আক্রান্তদের কাছে! সোনু সুদের কাজের ওপর তদন্তের নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট।
মুম্বই: এবার আইনের জালে করোনাকালের 'মসিহা'! ওষুধ যাচাই না করেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে আক্রান্তদের কাছে! সোনু সুদের কাজের ওপর তদন্তের নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট।
করোনাকালের প্রথম ঢেউ থেকেই মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। কেবল ওষুধ নয়, প্রথম ঢেউয়ে বহু পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি ফিরিয়েছিলেন তিনি। নিয়েই আয়োজন করেছিলেন সমস্ত যানবাহনের। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও প্রথমবারের মতই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সোনু সুদ। হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে রেমডিসিভি ও অক্সিজেন সহ অন্যান্য ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, মুশকিল আসান সোনু সুদই। কার্যত তাঁকে ভগবানের জায়গাতেই বসিয়েছিলেন একদল মানুষ। কিন্তু এবার সাহায্য করার জন্য আইনি জটে জড়িয়েছেন সোনুই।
বম্বে হাইকোর্ট থেকে মহারাষ্ট্র সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, করোনাকালে সোনু সুদ ও স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক জিসান সিদ্দিকি মানুষের কাছে করোনার ওষুধ পৌঁছে দেওয়ায় যে ভূমিকা পালন করছে তা খতিয়ে দেখা হোক। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসওএস কল আর্জি জানানোর পরেই এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, সোনু সুদ ও জিসান সিদ্দিকি করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে জীবনদায়ী ওষুধ পৌঁছে দিয়ে 'মসিহা' হয়ে উঠেছেন। কিন্তু ওই ওষুধগুলি পাঠানোর আগে তাঁরা যাচাই করে দেখছেন না আদৌ ওই ওষুধগুলি আইনত সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা অথবা ওষুধগুলি ভুয়ো কি না।
এসপি দেশমুখ ও জি এস কুলকর্ণির বেঞ্চ আজ জানায়, রেমডিসিভির বিক্রির লাইসেন্স থা থাকা সত্ত্বেও সিদ্দিকির কাছে পাঠানো হল ওষুধ। এই ঘটনায় একটি ক্রিমিনাল কেস দায়ের করা হয়েছে। গুরুগ্রামের লাইফলাইন হাসপাতালে বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনান সোনু সুদ। সেই সমস্ত ওষুধ খোলা বাজারে বিক্রি হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট লাইসেন্সের প্রয়োজন। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের প্রশ্ন, নিয়ম অনুযায়ী যেখানে এই ধরনের ওষুধ সরবরাহ করার অনুমতি একমাত্র সরকারের রয়েছে, সেখানে কীভাবে এই তারকা ও রাজনীতিবিদ বেসরকারিভাবে মানুষের কাছে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে দিতে সক্ষম হচ্ছেন?
হাইকোর্ট আরও জানায়, যেহেতু এই ওষুধগুলি সরাসরি জনগনেক কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, তাতে মানুষের আর সেগুলিকে পরীক্ষা করার উপায় থাকছে না। এই ধরণের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ও এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ জুন।