Physical And Mental Health Balance: মনের খবর রাখছেন? শরীরের পাশাপাশি ভাল রাখা প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যও, কী কী করতে পারেন?
Healthy Lifestyle: মানসিক ভাবে সুস্থ এবং চাঙ্গা থাকতে চাইলে প্রতিদিন সঠিক পরিমাণ ঘুম হওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এমনিই আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়ে থাকবে।
Physical And Mental Health Balance: শরীরের পাশাপাশি আমাদের সকলের উচিত মনের (Mental Health) দেখভাল করা। আপনার মন খারাপ থাকলে তা ভাল করার দায়িত্ব একান্ত আপনারই। প্রতিদিনের জীবনে করা ছোট ছোট কিছু (Daily Lifestyle Changes) কাজ এক নিমেষে আমাদের মন ভাল করে দেয়। আসলে শরীর অসুস্থ হলে আমরা সহজে বুঝতে পারি। কিন্তু মনের অসুখ? অনেকে তো বুঝতেই চান না যে মন খারাপ থাকাও একটা অসুস্থারই লক্ষণ। তাই শরীরের মতো খেয়াল রাখা প্রয়োজনের মনেরও। মন খারাপ এবং মানসিক অবসাদের মধ্যে সূক্ষ্ম ফারাক রয়েছে। সাধারণভাবে হয়তো আমরা সেই ফারাক বুঝতে পারি না। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
মন ভাল রাখার জন্য কী কী করতে পারেন
ভাল বই পড়া- যাঁদের পড়ার অভ্যাস রয়েছে তাঁরা যদি ভাল কোনও লেখা পড়েন তাহলে মন ভাল হয়। তাই সময় সুযোগ থাকলে পছন্দের বই আর এক কাপ চা কিংবা কফি নিয়ে বসে পড়ুন। সময়ও কাটবে। মনও ভাল থাকবে।
পোষ্যের সঙ্গে সময় কাটানো- পোষ্যের সঙ্গে সময় কাটালেও আমাদের মন খারাপ দূর হয়ে যায়। বাড়িতে পোষ্য থাকলে নিয়ম করে ওদের সঙ্গে সময় কাটান। হতে পারে ওরা অবলা জীব। কিন্তু আপনার দুঃসময়ে ওরা আপনার পাশে থাকবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।
নিজের উপর ভরসা রাখুন- নিজের মন ভাল রাখতে চাইলে নিজেকে সময় দিতে হবে। যে কাজটা আপনি ভাল পারেন, সেটা আঁকা, লেখা বা অন্য যা কিছু হতে পারে, সেখানে মন দিন। ব্যস্ত জীবনের থেকে নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নেওয়া উচিত আমাদের সকলেরই। আর এই সময়ে যদি ক্রিয়েটিভ কিছু করতে পারেন তাহলে খুবই ভাল হবে।
নিয়মিত মেডিটেশন করুন- প্রতিদিন মেডিটেশন বা ধ্যান করতে পারেন। একদিনে অনেকক্ষণ মেডিটেশন করা সম্ভব নয়। কিন্তু ধীরে ধীরে ধ্যান করার ক্ষমতা আপনার আয়ত্তে এসে যাবে। তখন আপনার যতক্ষণ ইচ্ছে আপনি মেডিটেশন অভ্যাস করতে পারবেন। এর ফলে মন, মেজাজ সব শান্ত থাকবে।
পর্যাপ্ত ঘুম- মানসিক ভাবে সুস্থ এবং চাঙ্গা থাকতে চাইলে প্রতিদিন সঠিক পরিমাণ ঘুম হওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এমনিই আপনার মেজাজ সপ্তমে চড়ে থাকবে। অকারণে লোকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলবেন। সারাক্ষণ একটা খিটখিটে মনোভাব থাকবে। তাই রোজ রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমনোর অভ্যাস করা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার- মনের খেয়াল রাখার জন্য একটু নজর দেওয়া প্রয়োজন মেনুতেও। মন ভাল না থাকলে জমিয়ে পেটপুজো করতে পারেন। ভোজনরসিকদের জন্য মন ভাল রাখার সহজ উপায় রসনাতৃপ্তি। কিন্তু তাই বলে যা ইচ্ছে তাই খেলে আবার বিরূপ প্রভাব পড়বে স্বাস্থ্যের উপর। মাঝে মাঝে চিট ডায়েট করুন। কিন্তু বেশিরভাগ খাওয়া-দাওয়া স্বাস্থ্যকর করা উচিত। দিনের সবকটি মিল অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার সবই খেতে হবে। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা চলবে না।
গান শুনতে পারেন- গান শুনলে অনেকেরই মন খারাপ কেটে যায়। ভাল গান, তার সুর-কথা-ছন্দ সবই আপনার মন ভাল করার জন্য দারুণ ভাবে কাজে লাগে। আসলে সুর এবং তাল আক্ষরিক অর্থেই স্ট্রেস রিলিভার অর্থাৎ অবসাদ দূর করে। তাই মন মেজাজ ভাল না থাকলে যে ধরনের গান আপনার পছন্দ তা চালিয়ে শুনতে পারেন।
মেতে উঠুন নাচের ছন্দে- শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনের খেয়াল রাখার জন্য সাহায্য করে নাচ। যাঁরা নাচের অভ্যাস করেন নিয়মিত, তাঁদের একদফা শরীরচর্চা হয়ে যায় এর মাধ্যমে। এছাড়াও স্ট্রেস কমানোর জন্য গানের মতোই কাজ করে নাচও।
যোগাসন অভ্যাস- নিয়মিত যোগাসন অভ্যাস করতে পারলে শরীরের পাশাপাশি শান্ত থাকে আপনার মন, মেজাজ। কমে অবসাদ এবং মানসিক চাপ। তাই দিনে অন্তত ১৫ মিনিট সময় নিজেকে দিন, যোগাসন অভ্যাস করুন।
নিজের যত্ন নিন- শরীরের পাশাপাশি মনের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য প্রয়োজন সেলফ কেয়ার। এক্ষেত্রে যোগাসন, একসারসাইজ যেমন কাজে লাগে তেমনই আপনার মন খারাপ থাকলে আপনি মন দিতে পারেন পরিচর্যায়। একটা ভাল ফেসিয়াল কিংবা হেয়ার কাট- আপনার মন ভাল করে দেওয়ার দাওয়াই হতেই পারে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )