Independence Day 2023 : লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন নজর কাড়ল ফাঁকা একটি চেয়ার, এল রেকর্ডেড বার্তা !
Mallikarjun Kharge : দিল্লিতে কংগ্রেস কার্যালয়ে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন
নয়াদিল্লি : লালকেল্লায় (Red Fort) স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day 2023) অনুষ্ঠান। বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, লাল কার্পেটে একটি লাল আসন রইল ফাঁকা। উপস্থিতি এড়ালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। পরিবর্তে একটি রেকর্ড করা মেসেজ পাঠান তিনি। যাতে তিনি উল্লেখ করলেন, পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীদের ভূমিকার কথা। সঙ্গে তুলনা টানেন বর্তমান সরকারের। তাঁর অভিযোগ, এই সরকার বিরোধীদের শিকার করতে নেমেছে।
ঐতিহাসিক লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত মন্ত্রী-আমলা-সহ বিশিষ্টরা। প্রথা মেনে একটি আসন বরাদ্দ ছিল প্রধান বিরোধী দলের নেতা খাড়গের জন্য। কিন্তু, তিনি আসেননি। যদিও দিল্লিতে কংগ্রেস কার্যালয়ে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন। সভাপতি হিসাবে এই প্রথমবার। নিজের বক্তব্যে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন।
নিজের ভিডিও মেসেজে খাড়গে মহাত্মা গাঁধী, জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মৌলানা আজাদ, রাজেন্দ্র প্রসাদ, সরোজিনি নাইডু ও বিআর আম্বেদকরদের শ্রদ্ধার্ঘ জানান। এর পাশাপাশি তিনি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু এবং অন্যান্য কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, রাজীব গাঁধী, নরসিমহা রাও, মনমোহন সিংদের দেশ গঠনে ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। এমনকী তিনি বিজেপি থেকে নির্বাচিত অটলবিহারি বাজপেয়ির কথাও উল্লেখ করেন।
#WATCH | Former PM Pandit Nehru ji had established steel plants, created public sector units, cretaed employment opportunities for the youth of the nation. He also established IITs, IIMs, AIIMS, space research institute ISRO and laid foundation of atomic research in the country:… pic.twitter.com/wTtKAtjJlX
— ANI (@ANI) August 15, 2023
এরপরই মোদিকে নিশানা করে তিনি বলেন, "দেশের উন্নতিতে প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীরই অবদান রয়েছে। কিন্তু, আজ কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন, ভারতে গত কয়েক বছরে উন্নয়ন দেখা গেছে। অটলবিহারি বাজপেয়ি-সহ সব প্রধানমন্ত্রীই দেশের কথা ভেবেছেন এবং উন্নয়নের জন্য বহু পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু আজ আমি এটা বলতে ব্যথিত বোধ করছি যে, গণতন্ত্র, সংবিধান ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলি বিপন্নতার মুখে আছে। এখন এইসব প্রতিষ্ঠানকে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধুমাত্র সিবিআই, ইডি বা আয়কর দফতরের হানা-ই নয়, নির্বাচন কমিশনকেও দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধী সাংসদদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, সাসপেন্ড করা হচ্ছে, মাইক মিউট করে দেওয়া হচ্ছে, বাদ দিয়ে হচ্ছে বক্তব্য।"