Myanmar Earthquake: ভূমিকম্পে বদলে গেল নদীর মানচিত্র, নিশ্চিহ্ন উপকূল! ইসরোর স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল ভয়ঙ্কর ছবি
ভূমিকম্পের এই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞে সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের কাছে, যেখানে ১,৭০০ জনেরও বেশির মৃত্যু হয়েছে।

নয়া দিল্লি: আচমকা ভয়ঙ্করভাবে কেঁপে ওঠে মাটি। কিছুক্ষণের কম্পন, মুহূর্তে ধুলিসাৎ করে দিল সবকিছু। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ঘরবাড়ি। চোখের নিমেষে শেষ হয়ে গেল অজস্র প্রাণ। কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্প তছনছ করে দিয়েছে মায়ানমার, তাইল্যান্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভূমিকম্পের এই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞে সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের কাছে, যেখানে ১,৭০০ জনেরও বেশির মৃত্যু হয়েছে।
মূল ভূমিকম্পের পর, ৬.৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী আফটারশক অঞ্চলটিকে কেঁপে ওঠে, যা ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়িয়ে দেয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং-মান্ডালে সীমান্তের কাছে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট, আবাসিক ভবন এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির মতো অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর, ISRO-এর কার্টোস্যাট-৩ থেকে প্রাপ্ত উপগ্রহ চিত্র থেকে দেখা গিয়েছে ভয়াবহ ধ্বংসের ছবি। যেখানে প্যাগোডা এবং ঐতিহাসিক আভা সেতুর মতো প্রধান স্থানগুলি ভেঙে পড়েছে। এমনকী নদীর গতিপথেও কিছুটা বদল এসেছে। মান্দালয় এবং সাগাইং উভয় স্থানেই বেশ কয়েকটি প্যাগোডা এবং ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এরই মধ্যে ভয়ঙ্কর বিপদের কথা জানিয়েছেন মার্কিন ভূবিজ্ঞানী। মার্কিন ভূবিজ্ঞানী জেস ফিনিক্স আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় জানিয়েছেন, মায়ানমারে শুক্র-সকালের ভূমিকম্পের কারণ ছিল ইউরেশীয় পাতের সঙ্গে ভারতীয় পাতের সংঘর্ষ। এবং সেই সংঘর্ষ এখনও থামেনি বলেই মত তাঁর। ইতিমধ্যে মায়ানমার ১৫ বা কেঁপে উঠেছে। ভূমিকম্প এবং ১৪টি আফটার শক।
বিজ্ঞানীর মতে, মাটির নীচে যে দুই পাতের সংঘর্ষ হয়েছে তার ফলে নির্গত হয়েছে ব্যাপক পরিমাণ শক্তি, হিসেবে যা অন্তত ৩৩৪টি পরমাণু বোমার শক্তির সমান। সেই কারণেই কম্পন এত তীব্র এবং এই বিশাল সংখ্যার আফটারশক।
যদিও ভূমিকম্প প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেও ভূমিধসের দায় মানুষেরই বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, ভূমিকম্পে মানুষের কোনও হাত নেই, ভূমিধস পুরোপুরি মানুষের জন্য হয়। গাছ কাটা তারমধ্যে একটি বড় কারণ। গাছ কাটা তার মূল কারণ। বাড়ি তৈরি যেখানে করা উচিত নয়। বহুতল তৈরি। মাটির অবস্থা না দেখে রাস্তা তৈরি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
