Xiaomi vs Apple: স্মার্টফোনের বিক্রিতে অ্যাপলকে টেক্কা শাওমির, এক নম্বরে কে ?
ক্যানালিসের রিসার্চ রিপোর্ট বলছে, মার্কেট শেয়ারে এবারও সবার ওপরে রয়েছে স্যামসাঙের নাম। তাদের মার্কেট শেয়ার রয়েছে ১৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে শাওমি দখল করতে পেরেছে ১৭ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাপল।
নয়াদিল্লি: স্মার্টফোনের বিক্রিতে এবার অ্যাপলকে টেক্কা দিল চিনের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড শাওমি। চলতি বছরের সেকেন্ড কোয়ার্টারে বিশ্বে ২ নম্বর স্থানে উঠে এসেছে 'চাইনিজ অ্যাপল'। পরিসংখ্যান বলছে, ৮৩ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে কোম্পানির।
সবার ওপরে স্যামসাং
এবারও অন্যান্য ব্র্যান্ডকে পিছনে রেখে পয়লা নম্বর স্থান অধিকার করে নিল স্যামসাং। ক্যানালিস রিসার্চ রিপোর্ট বলছে, স্মার্টফোনের বিক্রিতে সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছে এই কোম্পানি। ২ নম্বর স্থানে আগে অ্যাপল থাকলেও এবার সেই জায়গা দখল করেছে চাইনিজ টেক জায়ান্ট শাওমি। আমেরিকান কোম্পানি অ্যাপলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে তাদের স্মার্টফোনের বিক্রি।
মার্কেট শেয়ার
ক্যানালিসের রিসার্চ রিপোর্ট বলছে, মার্কেট শেয়ারে এবারও সবার ওপরে রয়েছে স্যামসাঙের নাম। তাদের মার্কেট শেয়ার রয়েছে ১৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে শাওমি দখল করতে পেরেছে ১৭ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাপল। তাদের দখলে রয়েছে ১৪ শতাংশ মার্কেট শেয়ার। তবে শাওমি ছাড়াও এবার স্মার্টফোনের বিক্রিতে উত্থান হয়েছে ওপ্পো-ভিভোর। দুজনের দখলেই রয়েছে ১০ শতাংশ করে মার্কেট শেয়ার। বিশ্বের ফোন বিক্রির দৌড়ে চার নম্বরে রয়েছে ওপ্পোর নাম। ঠিক তারপরই রয়েছে চিনা কোম্পানি ভিভো। সব মিলিয়ে বিশ্বের মোবাইল বাজারের অধিকাংশই এখন চিনের দখলে।
চিনা মোবাইল কোম্পানির চমক
বিশ্বের মোবাইল বাজারে দিকে তাকালে দেখা যাবে, সব জায়গায় এখন চিনা মোবাইলের রমরমা। সস্তায় উন্নত প্রযুক্তির স্মার্টফোন তৈরি করছে শাওমি, ওপ্পো, ভিভোর মতো কোম্পানি। অতীতে অ্যাপলের আদলে ফোন তৈরি করত শাওমি। তাই চাইনিজ অ্যাপলের তকমা লেগে যায় কোম্পানির গায়ে। পরবর্তীকালে নিজেদের ব্র্যান্ড আইডেনটিটি তৈরি করেছে শাওমি। সস্তা, মিড রেঞ্জের পাশাপাশি ফ্ল্যাগশিপ ফোন এনেছে কোম্পানি। অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় দাম কম হওয়ায় বাজার ধরতে সুবিধা হয়েছে চিনা কোম্পানির।
প্রতি বছর ইউরোপের মার্কেটের তুলনায় ভারতে অনেক বেশি ফোন বিক্রি হয় চিনা স্মার্টফোন কোম্পানিগুলির। পাশাপাশি প্রতি মাসেই নতুন মডেল লঞ্চ করায় কোম্পানির প্রতি আলাদা কৌতূহল তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের। সেই জায়গায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে আমেরিকান টেক জায়ান্ট অ্যাপল। এখনও বছরে একবার নতুন ফোন আনার পক্ষপাতী এই কোম্পানি। প্রিমিয়াম আইফোন রেঞ্জের বাইরে নতুন ভ্যারাইটি দিতে পারেনি কোম্পানি। সেই ফাঁকা জায়গা দখল করেছে চিনা কোম্পানিগুলি।