RCB IPL Champion। ১৮ বছর অপেক্ষার পর শাপমোচন আরসিবির, আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠেই কান্না কোহলির
ABP Ananda LIVE: ম্যাচ যত গড়িয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মিম। কেউ লিখেছেন, এবার আর সেই পাত্র বা পাত্রীর বিয়ে করতে সমস্যা রইল না, যিনি শপথ করেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হতে না দেখলে সাত পাকে বাঁধাই পড়বেন না। কারও লেখা, বুক থেকে ১৮ বছরের যন্ত্রণা নেমে গেল। কেউ আবার লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ জেতার সঙ্গে বিরাট কোহলির আইপিএল ট্রফি জয়ের সামঞ্জস্য তুলে ধরে পোস্ট করেছেন।
১৮ বছর ধরে চেষ্টা চলেছে। এর আগে তিনবার ট্রফির কাছাকাছি পৌঁছেও আরসিবি শিবিরের হৃদয়ভঙ্গ হয়েছে। কোহলিদের দলের থিম সংই যেন হয়ে গিয়েছিল, কিতনে দূর, কিতনে পাস। ট্রফি আর আরসিবির মধ্যে ঠিক যেন চায়ের কাপ আর ঠোঁটের দূরত্ব থেকে গিয়েছে।
অবশেষে শাপমোচন হল আরসিবির। শাপমুক্ত হলেন বিরাট কোহলি। চতুর্থবার আইপিএল ফাইনাল আর খালি হাতে ফেরাল না তাঁদের। পঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে হাসি ফিরল কোহলিদের শিবিরে। স্বস্তির হাসি। যুদ্ধজয়ের তৃপ্তি।
আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আইপিএল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এমন দুই দল, যারা কখনও ট্রফি জেতেনি। আরসিবি ও পঞ্জাব কিংস ফাইনালে ওঠার পরই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, এবারের আইপিএল নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে। প্রশ্নটা ছিল, শ্রেয়স আইয়ারের পঞ্জাব, না রজত পাতিদরের আরসিবি? সব উত্তর দিয়ে গেল আমদাবাদ।
প্রথমে ব্যাট করে যখন আরসিবি ১৯০/৯ তোলে, আরসিবি-র অতি বড় সমর্থকও হয়তো খুশি ছিলেন না। এই মাঠেই ২৪ ঘণ্টা আগে দুশোর বেশি রান তাড়া করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছে পঞ্জাব কিংস। শ্রেয়সদের সামনে কি যথেষ্ট রানের লক্ষ্য রাখা গেল? কেউ কেউ কাঠগড়ায় তুলছিলেন খোদ কোহলিকেই। বিশেষ করে তাঁর ৩৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংসকে মন্থর বলে তোপ দাগা হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল, টি-২০ ক্রিকেটের পক্ষে অনুপযুক্ত।
যদিও অন্যরকম কিছু ভেবেছিলেন আরসিবির বোলাররা। প্রথম ২ ওভারে পঞ্জাব ২৩ রান তুলে দেয়। ক্যাচ পড়ে প্রভসিমরন সিংহের। ফেলেন রোমারিও শেফার্ড। তবুও হাল ছাড়েনি আরসিবি। মাঝের ওভারে দুরন্ত স্পেল করে যান ক্রুণাল পাণ্ড্য। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে যান। ২ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। একটি করে উইকেট যশ দয়াল, জশ হ্যাজেলউড ও রোমারিও শেফার্ডের। শ্রেয়স আইয়ারকে ফিরিয়ে প্রভসিমরনের ক্যাচ ফেলার প্রায়শ্চিত্ত করেন শেফার্ড। ১৮৪/৭ স্কোরে আটকে যায় পঞ্জাব।
ম্যাচের শেষে মাঠেই কাঁদলেন কোহলি। আবেগে ভাসলেন কিংগ। পঞ্জাব কিংসের মালকিন প্রীতি জিন্টার চোখও যেন ছলছলে। বিষণ্ণ নায়িকা দেখলেন, দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠেও শূন্যই থেক গেল ট্রফির আলমারি।






















