ABP Live Exclusive: 'রেজাল্ট শুনে প্রায় কেঁদে ফেলেছিলেন বাবা', বলছেন উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে শীর্ষ স্থানাধিকারী শুভ্রাংশু
ABP Live Exclusive: নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র শুভ্রাংশু। উচ্চমাধ্যমিকে ভাল রেজাল্টের জন্য কী ছিল তাঁর টোটকা?
কলকাতা: প্রথমে বাবা-মাকে রেজাল্ট দেখতে দেননি। ঠিক করেছিলেন, একা রেজাল্টটা দেখে নেবেন, তারপরে জানাবেন বড়দের। নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল, প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে তিনি যে রাজ্যে প্রথম স্থানাধিকারী হবেন, একথা নিজেও ভাবতে পারেননি শুভ্রাংশু সর্দার (Subhrangsu Sardar)। উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় শীর্ষে নাম রয়েছে তাঁর। এবিপি লাইভ (ABP Live)-কে এবারের উচ্চমাধ্যমিকের কৃতি ছাত্র জানালেন, কোন সূত্রে শীর্ষস্থান দখল করলেন তিনি।
কেমন ছিল মেধাতালিকার শীর্ষে নিজের নাম দেখা অনুভূতিটা? শুভ্রাংশু বলছেন, 'সকাল থেকেই চিন্তিত ছিলাম। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। কেবল এইটুকু ঠিক করেছিলাম, আমিই প্রথম রেজাল্টটা দেখব। তারপরে যা হবে, জানাব। প্রথমে যখন মেধাতালিকা বলা শুরু হল টিভির পর্দায়, তখন অপেক্ষা যেন আরও দীর্ঘ হচ্ছিল। নিজের নামটা যখন শুনতে পেলাম প্রথমটা বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। ইয়ারফোন কানে দিয়ে ঘোষণাগুলো শুনছিলাম। নিজের নাম শুনে, ইয়ারফোন খুলে ছুট্টে বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে জানালাম। আনন্দে কাঁদিয়ে দিয়েছি বাবাকে। আমি নিজেও ভীষণ অবাক হয়েছিলাম।'
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র শুভ্রাংশু। উচ্চমাধ্যমিকে ভাল রেজাল্টের জন্য কী ছিল তাঁর টোটকা? শুভ্রাংশু বলছেন, 'প্রাইভেট টিউশন আমি তেমনভাবে করিনি কখনও। মিশনে থেকে পড়াশোনা করেছি, সেখানকার শিক্ষকদের কথাই মেনে চলেছি। যে যে বিষয়ের ওপর জোর দিতে বলেছেন, সেভাবেই পড়েছি। তবে আমি সবচেয়ে বেশি জোর দিতাম আমার ইচ্ছার ওপর। ঠিক যতটুকু সময় পড়তে ইচ্ছা করতো, ততটুকুই পড়তাম। সারা সন্ধে বই খুলে বসে রইলাম, অথচ পড়া হল না, তেমনটা করতাম না। আর মিশনের আবহ এমনিতেই মনোযোহ বাড়াতে সাহায্য করত আমার। রোজ দুবেলা প্রার্থনা হত। সেটা মনকে শান্ত করত। পড়ায় মন বসাতেও সাহায্য করত।'
বন্ধুদের সঙ্গে হোস্টেলে থাকলে অনেকেই গ্রুপ স্টার্ডি পছন্দ করেন। শুভ্রাংশুও কি সেই দলে? উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারীর কথায়, 'গ্রুপ স্টার্ডি অবশ্যই ফলপ্রসু, কিন্তু তার জন্য একটা ভাল গ্রুপ পাওয়া দরকার। অনেকে যেমন অনেকের অনেক বিষয়ে ভাল দখল থাকে। গ্রুপ স্টার্ডির মাধ্যমে সেটা নিয়ে নিতে পারি আমরা।'
পড়াশোনার বাইরে অবসর সময়ে কী করতেন শুভ্রাংশু? উত্তর এল, 'হোস্টেলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া বারণ বটে, কিন্তু হোস্টেলের ছেলেদের কেউ আটকাতে পারে না। হোস্টেল জীবনে আড্ডা জিনিসটার ভীষণ মাহাত্ম। মিশনে আমার ভীষণ সাহিত্যচর্চা হত। হ্যারি পটার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাহিত্য, সব নিয়েই একটা মজলিস বসে যেত বন্ধুদের মধ্যে। আমি এমনিতেই বই পড়তে ভীষণ ভালবাসি।'
শুভ্রাংশু এবং উচ্চমাধ্যমিকের সমস্ত কৃতি ছাত্রছাত্রীদের এবিপি লাইভের তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI