Birbhum News: 'ভূতুড়ে ভোটারের' মাঝেই এবার 'আধার', আজবকাণ্ড রাজ্য়ের এই জেলায় !
Same Number in Two Aadhar Card In Birbhum: ভূতুড়ে ভোটারের অভিযোগের মাঝেই এবার আজবকাণ্ড রাজ্য়ের এই জেলায় !

বীরভূম: ভূতুড়ে ভোটারের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এবার সিউড়িতে আজবকাণ্ড। দাদা-ভাইয়ের একই নম্বর আধার কার্ডে! ১০ বছর ধরে এই সমস্যার সুরাহা মেলেনি। বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মেলেনি।
সম্প্রতি ভূতুড়ে ভোটারের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল দেখা দিয়েছিল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। বাস্তবে তাঁর তিন ছেলে। কিন্তু ভোটার লিস্টে সেই তৃণমূল নেতাই আবার আবার চার ছেলের বাবা! না থেকেও, আরেক ছেলে এল কোথা থেকে? আবার, গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের রানিনগরের যে চারজন ভোটারের নাম বলেছিলেন, আমরা তাঁদেরও মুখোমুখি হয়েছিলাম। যাঁদের এপিক নম্বরেই রয়েছে হরিয়ানার বাসিন্দাদের নাম। গঙ্গারামপুরের এক সরকারি কর্মীর এপিক নম্বরে আবার নাম রয়েছে গুজরাতের এক বাসিন্দার।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে। তার মানে বাংলার লোক যখন ভোট দিতে যাবে তার ভোটটা বাইরে থেকে এসে সে দিয়ে দেবে। ভোটের আগেই বেজে উঠেছে ভোটের দামামা। ভোটার তালিকায় 'ভূতুড়ে ভোটার'-এর দাপাদাপি নিয়েই এখন জোর চর্চা! আর বাস্তবে যে ছবিটা উঠে আসছে তাও খুব একটা সুখকর নয়। কোথাও ভোটার লিস্টে বেড়ে গেছে সন্তানের সংখ্যা। কোথাও আবার এক এপিক নম্বরেই একাধিক ভোটার।
নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার পোড়াগাছা গ্রাম পঞ্চায়েত। এখাকার তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য হলেন বাহারালি মণ্ডল। বর্তমানে কৃষ্ণনগর এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি। সচিত্র ভোটার তালিকার একই পৃষ্ঠায় ৭২০ নম্বরে নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা বাহারালি মণ্ডলের বড় ছেলে মালেক মণ্ডলের। আর ভোটার তালিকার ৫৫৩ নম্বরে বাহারালি মণ্ডলের ছেলে হিসেবে নাম রয়েছে জনৈক জসিম মণ্ডলের। বাহারালি মণ্ডলের বাড়ির যে নম্বর জসিমের ঠিকানাতেও একই নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আদতে জসিম নামে বাহারালি মণ্ডলের কোনও ছেলেই নেই!কৃষ্ণনগর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি বাহারালি মণ্ডল বলেছিলেন , জসিম আমার ছেলে না। আমার তিন ছেলে। বড় ছেলে মালেক মণ্ডল। মেজ ছেলে আতিয়ার মণ্ডল। ছোট ছেলে রাকেশ মণ্ডল। জসিম মণ্ডলকে আমি জানি না। ওর সঙ্গে আমার পরিচয় নেই, আমি চিনিও না।
গত বৃহস্পতিবার রীতিমতো তালিকা দেখে জেলাভিত্তিক ভূতুড়ে ভোটারের কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ধরুন একটা নাম মুর্শিদাবাদের রানিনগরে বাড়ি মহম্মদ শাহিদুল ইসলাম, এর এপিক কার্ড নম্বর যেটা আছে পশ্চিমবঙ্গে, তাঁর সঙ্গে নাম যুক্ত করেছে সোনিয়া দেবী। তাঁর বাড়ি কোথায়, তাঁর বাড়ি হচ্ছে হরিয়ানা। মহম্মদ আলি হোসেন, রানিনগরে বাড়ি তাঁর সঙ্গে নাম তুলেছে কার,মনজিৎ, তাঁর বাড়ি হরিয়ানা। বানেরা বিবি, রানিনগর তাঁর সঙ্গে নাম তুলেছে কার, দীপক। বাবার নামও আছে। বাড়ি কোথায়? হরিয়ানা। তাহলে পশ্চিমবঙ্গ ভোট দেবে না হরিয়ানা ভোট দেবে, পশ্চিমবঙ্গে? বুঝতে পারছেন খেলাটা? মাথায় কিছু ঢুকল? '
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
