(Source: Poll of Polls)
Subhashree Ganguly : দশমীতে বাপের বাড়িতে সিঁদুরখেলা, রাজের সঙ্গে নাচে মাতলেন শুভশ্রী
Durga Puja 2022 : পুজো শেষ মানেই আবার সেই রোজকার রুটিনে ফেরা। তাই উৎসবের শেষ মুহূর্তেও আনন্দ চেটেপুটে নিলেন সকলে।
কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : দশমীতে (Bijaya Dashami) বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসের পথে যাত্রা দুর্গার৷ হাসিমুখে উমাকে বিদায়৷ দেবীবরণের পর সিঁদুর খেলা, ধুনুচি নাচে মাতলেন সেলিব্রিটিরা। মাকে বিদায়ের দিনে নিজের বাড়ি বাড়িতে হাজির হয়ে দেবীবরণ থেকে সিঁদুরখেলায় মাতলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। বর্ধমানের (Purba Burdwan) বাজেপ্রতাপপুরে অভিনেত্রী পৌঁছে গিয়েছিলেন স্বামী তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও ছেলে ইউভানকে নিয়ে।
সিঁদুর খেলা, নাচ
বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে দেবী দুর্গাকে বরণ করেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ও (Subhashree Ganguly)। যার পরে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। রীতি উপচার মেনে সিঁদুর খেলার পর উমাকে বিসর্জনের আগে নাচেও মেতে ওঠেন শুভশ্রী। সিঁদুর খেলা ও নাচে শুভশ্রীর সঙ্গ দেন রাজ (Raj Chakraborty) । পুজো শেষ মানেই আবার সেই রোজকার রুটিনে ফেরা। তাই উৎসবের শেষ মুহূর্তেও আনন্দ চেটেপুটে নিলেন সকলে।
সামিল সেলিব্রিটিরা
মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীবরণ। সিঁদুর খেলা, ধুনুচি নাচে সকলের সঙ্গে মিশে গেলেন সেলব্রিটিরা। হাজরা পার্কের মণ্ডপে দেবীবরণ করেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বিষাদের মাঝেই সিঁদুর খেলা, মিষ্টিমুখে শুভেচ্ছা বিনিময়। দশমীর বিকেলে সিঁদুর খেলা, দেবীবরণে জমজমাট ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ি। পরিবারের সবার সঙ্গে আড্ডা, নাচে মাতলেন রঞ্জিত মল্লিক ও কোয়েল মল্লিক।
বালিগঞ্জে সপরিবারে সিঁদুর খেলায় মাতেন অভিনেতা পাওলি দাম। ঢাকের তালে চলে ধুনুচি নাচও। সাবেকি সাজে দেবীকে বরণ করেন অপরাজিতা আঢ্য। নভোটেলের পুজোয় যেন চাঁদের হাট। হাজির ছিলেন ইশা সাহা, ঋতিকা সেন পরিচালক সত্রাজিত সেনরা।
আসছে বছর আবার হবে
বাপের বাড়ি থেকে আবার কৈলাসে পাড়ি উমার। ঢাকের বোলে বিসর্জনের সুর। আরও একটা বছরের প্রতীক্ষা। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরেই শুরু হয় বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়। সঙ্গে কোলাকুলি, মিষ্টিমুখ মাস্ট। রকমারি মিষ্টিতে যেন উৎসব শেষের কষা স্বাদ ঢেকে নিয়ে নতুন লড়াই শুরুর চেষ্টা।
বেজে গিয়েছে বিসর্জনের বাজনা ৷ ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে কৈলাসে পাড়ি উমার। আনন্দে উচ্ছ্বাসের মাঝেই মিশেছে বিষণ্ণতার সুর৷ মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী-বরণের পাশাপাশি সিঁদুর খেলা। এরপর মা-কে বিদায় জানানোর পালা। সিঁদুর খেলে, মিষ্টিমুখে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কোলাকুলি, শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টিমুখ৷ বাঙালির চিরাচরিত রীতি। হাসি মুখে মাকে বিদায় জানিয়ে আরও একটা বছরের অপেক্ষা৷ এখন শুধু দু’চোখ ভরে মাকে দেখে নেওয়া আর ঢাকের তালে মনে মনে বলা, আসছে বছর আবার এসো মা৷
মিষ্টির বাহার
ট্র্যাডিশনাল রসগোল্লা বা কড়া পাকের সন্দেশই হোক আর হাল ফ্যাশনের চকোলেট সন্দেশ হোক। দশমীর সকাল থেকে দোকানে দোকানে তাই মিষ্টি কেনার ভিড়। বেজায় ব্যস্ত মিষ্টির দোকানের কর্মচারীরাও। আনন্দ উচ্ছ্বাসের মাঝেই বিষণ্ণতার সুর। উৎসব শেষ। থেকে যাক মিষ্টিমুখের রেশ।