Kamduni Case: এখনও দগদগে ক্ষত, আরজি কর কাণ্ডের আবহে ঘুরেফিরে আসছে কামদুনি প্রসঙ্গ
RG Kar News: আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত পুলিশের হাতে থাকলে, সঞ্জয় রায়ের মৃত্য়ুদণ্ড হত। বারবার এটাই বোঝানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।

কলকাতা: আর জি কর মামলার প্রেক্ষিতে বারবার আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে কামদুনিকাণ্ডের প্রসঙ্গ। আর জি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে যখন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার তখন, বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, কামদুনিকাণ্ডের তদন্ত তো CID করেছিল, শেষ অবধি তার রায় কী হয়েছিল?
আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত পুলিশের হাতে থাকলে, সঞ্জয় রায়ের মৃত্য়ুদণ্ড হত। বারবার এটাই বোঝানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পাল্টা বিরোধীদের প্রশ্ন, কামদুনিকাণ্ডের তদন্ত তো CID করেছিল, শেষ অবধি তার রায় কী হয়েছিল? নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা শোনালেও, পরবর্তীকালে হাইকোর্টকে কেন তা রদ করতে হয়েছিল? ২০১৩ সালের ৭ জুন কামদুনির কান্না নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্য়কে। পাঁচিলঘেরা ফাঁকা জমি থেকে উদ্ধার হয় এক কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ। গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছিল তাঁকে। দশদিন পর, ২০১৩-র ১৭ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কামদুনিতে যান। আশ্বাস দেন দ্রুত বিচারের।
পরবর্তীকালে ব্য়াঙ্কশাল আদালত ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর কামদুনিকাণ্ডে ৩ আসামিরই ফাঁসির সাজা রদ করে কলকাতা হাইকোর্ট। ২ দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় ও ৪ জনকে খালাস করে হাইকোর্ট। কামদুনিকাণ্ডে নিহত ছাত্রীর দাদা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাদেরকেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শুধু আশ্বাস দিলে হবে না মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে এটা করে দেখাতে হবে যে এই ধরনের জঘন্য অপরাধে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তিটা যে অপরাধী সে যেন পায়। শুধু মুখে বড় বড় আশ্বাস দিলে হবে না।'' কামদুনিকাণ্ডের প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু কামদুনির ক্ষেত্রেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতিই থেকে গেছে। ফাঁসির আসামিরা ছাড়া পেয়ে গেছে। এখনও ২ জন আছে জেলে।''
কামদুনিকাণ্ডে পরিবার অভিযোগ করেছিল, বারবার সরকারি আইনজীবী পরিবর্তন করে বিচারকে প্রভাবিত করা হয়েছিল। আজ যখন মুখ্য়মন্ত্রী দাবি করছেন, আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার তাঁদের হাতে থাকলে, বিচারের রায় অন্য়রকম হত, তখন তাঁকে কামদুনিকাণ্ডের রায়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "উনি কাকে ফাঁসি দিয়েছেন? কামদুনির ধর্ষকের ফাঁসিকে তিনি বাঁচিয়েছেন। ১৭টা পিপি, ১৪টা পিপি বদল করে কামদুনির ফাঁসি যারা পেয়েছিলেন তাদেরকে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা হাইকোর্টে ১৪টা পিপি চেঞ্জ করিয়ে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তাদেরকে পুলিশি প্রহরায় বাড়িতে রেখেছেন। লজ্জা থাকা উচিত এই মুখ্যমন্ত্রীর।'' সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "কামদুনিকাণ্ড তো রাজ্যের হাতে ছিল। বারবার সমস্ত উকিল বদল করে, বেঞ্চ বদল করে তালগোল পাকিয়ে কামদুনিকাণ্ডের রায় আপনি তালগোল পাকিয়ে দিলেন কেন? মুখ্যমন্ত্রী কখন কী বলবেন তা নির্ভর করে রাজনৈতিকভাবে কোন কথাটা কখন ওঁর স্যুট করবে।''
আরও পড়ুন: Midnapore Doctor Suspend: সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ৭ জুনিয়র ডাক্তারের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
