SSC Scam: "বড় নেতার দলবদল মানেই তাঁর শর্ত থাকবে'' তোপ শমীকের
CBI Summoned Paresh Adhikari: “বামফ্রন্টের মতো দল থেকে একজন বড় নেতা যখন পদত্যাগ করেছেন, এবং তিনি যখন এসেছেন তখন নিশ্চিতভাবেই তাঁরও কিছু শর্ত্য থাকবে।'' মন্তব্য শমীক ভট্টাচার্যের
![SSC Scam: Samik Bhattacharya on SSC Scam: change of party big leader means that he will have conditions SSC Scam:](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/04/23/e974700f8e1f4473e137105ba134289c_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’, এবার শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ। রাত ৮টার মধ্যেই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikari) জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ। এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, “বামফ্রন্টের মতো দল থেকে একজন বড় নেতা যখন পদত্যাগ করেছেন, এবং তিনি যখন এসেছেন তখন নিশ্চিতভাবেই তাঁরও কিছু শর্ত্য থাকবে। এটাও বহুল প্রচারিত, রাতারাতি একদিনের মধ্যে তাঁর মেয়ের নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হয়। যেদিন পরেশ অধিকারী তৃণমূলে যোগ দেন, সম্ভবত তাঁর পরের দিনই এই নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়। আদালত তাঁর অবস্থান জানিয়েছে।’’
পরেশ অধিকারীকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিতে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে সুপারিশ। মেধা তালিকায় না থেকেও কোচবিহারের স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে আজ রাতের মধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ। ২০১৮-তে স্কুলে চাকরি পান পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। এসএসসির পুরনো তালিকায় ১ নম্বরে নাম ছিল ববিতা বর্মনের। নতুন মেধা তালিকায় ২ নম্বরে নেমে আসেন ববিতা বর্মন। আগে না থাকলেও নতুন মেধা তালিকায় ১ নম্বরে মন্ত্রী-কন্যার নাম থাকার অভিযোগ। মেধা তালিকায় নাম নেই, কী করে চাকরি পেলেন মন্ত্রী-কন্যা? শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা। ১৭ অগাস্ট, ২০১৮: তৃণমূলে যোগ দেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন নেতা পরেশ অধিকারী। বাম আমলের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী।
রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী বর্তমানে কোচবিহারের একটি স্কুলের শিক্ষকতা করছেন। এই মামলায় আজ রাত ৮টার মধ্যে মন্ত্রীকে সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করেছেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। স্বচ্ছতার স্বার্থে এই সুপারিশ কার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। ৭ জুনের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার সংশ্লিষ্ট মেধাতালিকার ভিত্তিতে মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, ওয়েটিং লিস্টে ২০ নম্বরে তাঁর নাম ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর নাম চলে আসে এক নম্বরে। অঙ্কিতা চাকরি পান। ছিটকে যান ববিতা সরকার। নাম চলে যায় ২১ নম্বরে। ওয়েটিং লিস্টে ১ থেকে ২০ নম্বরে যাঁরা ছিলেন তাঁরা চাকরি পেলেও ববিতা সরকার চাকরি পাননি। স্বজনপোষণের অভিযোগে সরব হন তিনি। এই মামলার শুনানিতে এদিন পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)