South 24 Parganas:পাখি ও পাখির দেহাংশ পাচারে জড়িত আন্তর্জাতিক চক্রের সন্ধান দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, ধৃত ১
Forest Department Gets Track Of Racket:পাখি ও পাখির দেহাংশ পাচারে জড়িত আন্তর্জাতিক চক্রের সন্ধান পেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনবিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো।
গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পাখি ও পাখির দেহাংশ পাচারে জড়িত আন্তর্জাতিক চক্রের (International Racket) সন্ধান পেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বনবিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো। বৃহস্পতিবার ঢোলাহাট থানার বেজপুকুর গ্রামে সালাউদ্দিন মির নামে এক যুবকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পাখির দেহাংশ উদ্ধার করে বনবিভাগের (Forest Department) নামখানা রেঞ্জ। গোটা চক্রের সন্ধান পেতে ধৃতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বন দফতর।
কী উদ্ধার হল?
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের তল্লাশিতে ৯৩৩টি মাছরাঙার দেহাংশ, ৮৬৮টি জঙ্গলের লাল ও ধূসর রঙের পাখির রঙিন পালক এবং বিলুপ্ত প্রজাতির ফ্রাঙ্কোলিনের ১৬৮টি শুকনো কঙ্কাল উদ্ধার হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল জানান, গত ১৬ বছর ধরে বিদেশের রাশিয়া, জাপান, বুলগেরিয়া, জার্মানি, আমেরিকা, নাইরোবি, কেনিয়া ও চিলিতে এই ধরনের পাখি ও পাখির দেহাংশ পাচার করা হত। পাখির দেহাংশ ও পালক নিয়ে প্রধানত শৌখিন সামগ্রী ও মাছ ধরার টোপও তৈরি করা হত, প্রাথমিক ভাবে ধারণা তাঁদের। তবে এই গোটা চক্রে আর কারা জড়িত জানতে ধৃতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে বন দফতর। আজ, শুক্রবার তাঁকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করার কথা।
মার্চে উদ্ধার নদিয়া থেকে...
গত মার্চেই পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রচুর সংখ্যায় বিরল প্রজাতির পাখি। বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীদের কবল থেকে পাখিগুলি উদ্ধার করে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের সীমা চৌকি গোবিন্দপুর বি ৮২ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সেই অভিযান চালিয়েছিলেন। তখই দেখা যায়, বাংলাদেশের দিক থেকে কিছু লোকজন ভারতীয় সীমান্তের দিকে আসছে। নজরে পড়তেই তাদের থামতে বলেন জওয়ানরা। কিন্তু তারা থামেনি। জওয়ানরা তাঁদের ফের থামতে বলেন। তখনই, অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের দিকেই পালিয়ে যায় তারা। জওয়ানরা ঘটনাস্থল থেকে দুটি কাঠের বাক্স উদ্ধার করে। সেখানে দুটি বিরল প্রজাতির পাখি (বোনা ক্যাসোওয়ারি) পাওয়া যায়। চোরাকারবারিদের কবল থেকে উদ্ধার করা পাখিগুলিকে বন দফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ৮২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার জানান, সীমান্তে বিরল প্রজাতির পাখি পাচার বন্ধে বিএসএফ কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। ওই এলাকায় কোনওরকম চোরাচালান রুখতে বিএসএফ তৎপর বলে জানান তিনি।প্রায়শই সামনে আসে পাখি উদ্ধারের (Bird recovery) ঘটনা। অনেক সময়েই নানা জায়গায় চোরাচালানের পর্দাফাঁস করে বিএসএফ (BSF)। অনেকসময়েই বাজেয়াপ্তের তালিকায় থাকে পাখি। গত বছরেই নদিয়ার কল্যাণী (Kalyani) থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৩৮টি বিদেশি পাখি। এসটিএফ, কল্যাণী থানা এবং বন দফতরের মিলিত অভিযানে নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী থানার কল্যাণী বি ব্লক থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল সংখ্যায় বিদেশি পাখি (Bird)। এবার অবশ্য শুধু পাখি নয়, পাখির দেহাংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারী চক্রের হদিশ দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।