Cvoter Exit Poll 2023: আগের বার গোল দিতেই পারেনি কেউ, এবার কি ফলাফল বদলাবে বাঁকুড়ায়! কী বলছে CVoter সমীক্ষা
Exit Poll 2023: সি ভোটার সমীক্ষা থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাঁকুড়ার জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৫৬।
কলকাতা: আগের অভিজ্ঞতা থেকেই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ব্যাপক হিংসা, অশান্তির আশঙ্কা করা হয়েছিল। আশঙ্কা যে অমূলক ছিল না, ইতিমধ্যেই তা প্রমাণিত। ভোটের দিন পর্যন্ত ৩৩টি প্রাণ ঝরেছে। অশান্তি, হিংসা, বোমাবাজি চোখে পড়েছে দেদার। গণতন্ত্রের উৎসব আদৌ এই নির্বাচনে প্রতিফলিত হল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা (Exit Poll 2023)। হিংসায় বিরোধীদের ভূমিকার দিকে পাল্টা আঙুল তুলেছে তৃণমূল। সেই আবহেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার সম্ভাব্য ফলাফলে আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেছে সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। (Cvoter Exit Poll 2023)
সি ভোটার সমীক্ষা থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাঁকুড়ার জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৫৬। তার মধ্যে ৩৭টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের। বিজেপি পেতে পারে ৯ থেকে ১৫টি আসন। ০ থেকে ৩টি আসন যেতে পারে বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে। এখানে উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়ার আসনসংখ্যা ছিল ৪৬। সেবার সবক'টি আসনেই জয়লাভ করে তৃণমূল। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, কেউ খাতা খুলতে পারেনি বাঁকুড়ায়।
কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির নিরিখে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাঁকুড়ায় আসনের পুনর্বিন্যাস ঘটে। জনসংখ্য়ার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বাড়ানো হয় আসনের সংখ্যা। তাতেই ৪৬ থেকে বেড়ে বাঁকুড়ার আসনসংখ্যা হয় ৫৬। অর্থাৎ ১০টি আসন বেড়েছে। তাই আগেরবারের সঙ্গে তুলনা করলে, বাঁকুড়ায় তৃণমূলকে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। বাম-কংগ্রেস নয়, সেখানে খাতা খুলতে পারে বিজেপি।
আরও পড়ুন: Cvoter Exit Poll 2023: পুরুলিয়া এবং মুর্শিদাবাদে দৌড়ে এগিয়ে তৃণমূল, বলছে সি-ভোটার সমীক্ষা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল কী হতে পারে, শুধুমাত্র তার আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেছে সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। শনিবার অর্থাৎ আজ ভোটের দিন ২০টি জেলা পরিষদের ১৩ হাজার ২৮৯ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। বিকেল ৪টে পর্যন্ত করা সমীক্ষায় যা উঠেছে এসেছে, তার ভিত্তিতেই সার্ভের ফলাফল তুলে ধরেছেন তাঁরা।
এই এক্সিট পোলে মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস পাঁচ শতাংশ। কিন্তু ওপিনিয়ন পোল হোক কিংবা এক্সিট পোল...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। এই এক্সিট পোলের সঙ্গে এবিপি আনন্দর এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। আর মানুষ প্রকৃতভাবে তার মতামত দিতে পারল কি পারল না, তার উত্তর কি এই ছবিগুলোই নয়? সেই বিতর্ক কিন্তু রয়েই গেল।