Tamannaah Bhatia: আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় নাম জড়াল তমন্না ভাটিয়ার, ইডির প্রশ্নের মুখে অভিনেত্রী
Tamannaah Bhatia Questioned by ED: দক্ষিণী অভিনেত্রী তমন্না ভাটিয়ার নাম জড়াল আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায়। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে ইডির প্রশ্নের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ধরে চলল প্রশ্ন।
কলকাতা: দক্ষিণী অভিনেত্রী তমন্না ভাটিয়ার নাম জড়াল আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায়। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে ইডির প্রশ্নের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ধরে চলল প্রশ্ন। ইডির দাবি, এইচপিজেড টোকেন মোবাইল অ্যাপের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর (Tamannaah Bhatia) নাম। বিট কয়েন সহ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের প্রেক্ষিতে এই বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। আর এই আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলাতেই ইডি তলব করেছিল তমন্না ভাটিয়াকে। সংবাদসংস্থা পিটিআই এই তথ্য জানিয়েছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানিয়েছে ৩৪ বছর বয়সী অভিনেত্রী তমন্না ভাটিয়াকে (Tamannaah Bhatia) প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA)-র অধীনে আঞ্চলিক অফিসে ডেকে জেরা করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে সেই অ্যাপ কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি ইভেন্টে স্টেজ প্রেজেন্সের জন্য কিছু টাকা পাঠানো হয়েছিল তমন্না ভাটিয়াকে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক অভিযোগ ওঠেনি। এর আগেও তাঁকে একবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু কাজের জন্য সেই তলবে যেতে পারেননি তিনি। আর তাই বৃহস্পতিবার তিনি ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে উপস্থিত হন তাদের আঞ্চলিক অফিসে।
মার্চ মাসে এই অ্যাপের সঙ্গে জড়িত আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় (Tamannaah Bhatia) মোট ২৯৯টি এনটিটির বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর মধ্যে ৭৬টি এনটিটি সম্পূর্ণরূপে চিনের নিয়ন্ত্রণে আর এর মধ্যে ২টির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে অন্যান্য বৈদেশিক সংস্থার হাতে। এর আগে কোহিমা থানার সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি আইনের অধীনে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল যারা বিনিয়োগকারীদের বিটকয়েন মাইনিংয়ের মাধ্যমে অবিশ্বাস্য রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জালিয়াতি করেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে সেই এইপিজেড টোকেন মোবাইল অ্যাপ মূলত বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার জন্যই চালু করা হয়েছিল। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে মার্চেন্ট আইডি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোনো সঠিক পরিচয় পত্র নেই। নকল ডিরেক্টরের নাম দেওয়া হয়েছে যাতে এই অপরাধ চাপা থাকে, সহজে ধরা না পড়ে।
এই অ্যাপে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বিনিয়োগকারীরা ৫৭ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন ৪ হাজার টাকা করে রিটার্ন পাবেন আগামী তিন মাসের জন্য। কিন্তু মাত্র একবারই মাত্র টাকা দেওয়া হয়েছিল। তারপর সব টাকা লুট করেই প্রতারকরা চম্পট দেয়।