Muhammad Yunus : বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনে হাজির মহম্মদ ইউনুস, কী বার্তা দিলেন
Manmohan Singh Demise: সদ্য প্রয়াত হন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। ৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ঢাকা : দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। প্রথমে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি এবং তার পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের একের পর এক অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর। ওপার বাংলা থেকে এসেছে একের পর এক হুঁশিয়ারি। পাল্টা জবাবও পেয়েছে তারা। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আগামীদিনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কোন দিকে এগোয় তা নিয়ে চর্চা রয়েছেই। এরই মধ্যে সৌজন্যের বার্তা দিয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে পৌঁছে গেলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেখানে সদ্য প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান। তাঁর প্রতিকৃতিতে পরান মালা। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে সাতদিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলছে।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ঢাকায় বারিধারায় থাকা ভারতীয় হাই কমিশনে মহম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান ভারতীয় দূত প্রণয় কুমার ভার্মা। সেখানে উভয়ের মধ্যে সংক্ষিপ্ত কথোপকথন হয়। দীর্ঘদিনের বন্ধু মনমোহন সিংহের সঙ্গে তাঁর স্মৃতি শেয়ার করেন ইউনূস। তিনি বলেন, "কী সাধারণ মানুষই-না ছিলেন তিনি ! তেমনি পণ্ডিত !" এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ভারতকে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মনমোহন সিংহ।
সদ্য প্রয়াত হন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। ৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আচমকাই স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তড়িঘড়ি দিল্লির AIIMS-এ ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখনই শ্বাসকষ্ট গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠেছিল বলে জানা যায়। তড়িঘড়ি ICU-তে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দিল্লি AIIMS জানায়, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার চিকিৎসা চলছিল। ২৬ ডিসেম্বর হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। বাড়িতেই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু হয়। রাত ৮টা বেজে ৬ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয় তাঁকে। কিন্তু সব চেষ্টা সত্ত্বেও ওঁকে ফেরোনা যায়নি। রাত ৯টা বেজে ৫১ মিনিটে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
প্ল্যানিং কমিশনের চেয়ারম্যান, সাউথ কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব সামলানোর পর জেনিভার একটি থিঙ্কট্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ হিসেবেও কাজ করেছেন। ১৯৯১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যআন হন মনমোহন। এর পর ১৯৯১ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ। মনমোহনের হাতেই ভারত মুক্ত অর্থনীতি হয়ে ওঠে। যে দু'ফায় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০০৭ সালে তাঁর আমলেই ভারতের GDP সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকে, ৯ শতাংশে। পৃথিবীর দ্বিতীয় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে উঠে আসে ভারত।
দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তো বটেই, অর্থমন্ত্রী হিসেবেও ভারতের অর্থনীতিতে সংস্কার ঘটিয়েছিলেন মনমোহন। ১৯৯১ সালে দেশের রাজস্ব ঘাটতি যখন ৮.৫ শতাংশে, সেই সময় গোটা বিশ্বের সামনে ভারতের বাজার উন্মুক্ত করে দেন তিনি। উদার অর্থনীতির দরজা খুলে দেন। ভারতের অর্থনীতির ভিত মজবুত করেন মনমোহন।