Donald Trump: শিক্ষা বিভাগই তুলে দিতে চান ট্রাম্প, আজই সই করতে পারেন নির্দেশে, আগেই মামলা দায়ের আদালতে
US Education Department: বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিও তুলে ধরেছে রয়টার্স, যাতে বলা হয়েছে, "যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা পড়ুয়া থাকে অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সকলের কাছেই ব্যর্থ।"

ওয়াশিংটন: এবার শিক্ষা বিভাগই তুলে দিতে চলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করতে চলেছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারের সময় শিক্ষা বিভাগ তুলে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতিই এবার কার্যকর করতে চলেছেন। হোয়াইট হাউসের তরফেও সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। (Donald Trump)
বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিও তুলে ধরেছে রয়টার্স, যাতে বলা হয়েছে, "যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা পড়ুয়া থাকে অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সকলের কাছেই ব্যর্থ।" ১৯৭৯ সালে শিক্ষা বিভাগ চালু হওয়ার পর থেকে ৩ লক্ষ কোটি ডলার খরচ হয়ে গেলেও পড়ুয়াদের পড়াশোনার কোনও উন্নতি হয়নি, তাঁতে প্রাপ্ত নম্বরেও কোনও উন্নতি চোখে পড়েনি বলে হোয়াইট হাউসের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি রয়টার্সের। (US Education Department)
বৃহস্পতিবারই ট্রাম্প শিক্ষা বিভাগের ঝাঁপ বন্ধের নির্দেশে সই করতে চলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। আমেরিকার শিক্ষা বিভাগের অধীনে দেশের ১ লক্ষের বেশি স্কুল রয়েছে। পাশাপাশি, ৩৪ হাজার বেসরকারি স্কুলের উপরও সরকারি তদারকি চলে। সরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষার মান যাতে নেমে না যায়, তার জন্যই পৃথক শিক্ষা বিভাগের সূচনা হয়। তার আগে ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জনকল্যাণ একটিমাত্র বিভাগ ছিল। আমেরিকার শিক্ষা বিভাগ কেজি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালায়। পাশাপাশি, কলেজ পড়ুয়াদের টিউশন ফি জমা দিতেও সাহায্য় করা হয়। তাই শিক্ষা বিভাগ বন্ধ হয়ে গেলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষজন শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলি ইচ্ছে মতো টাকা নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প যদিও নির্বাচনের আগে থেকেই শিক্ষা বিভাগ তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে আসছিলেন। শিক্ষা বিভাগকে তিনি 'প্রতারণা চক্র' বলে উল্লেখও করেন। প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনও শিক্ষা বিভাগ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প, সেই সময় কংগ্রেসের সমর্থন পাননি। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে আবারও শিক্ষা বিভাগ তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন ট্রাম্প। এব্যাপারে ইলন মাস্কের সমর্থন মিলবে কি না, সেই নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্প এবং তাঁর ধনকুবের উপদেষ্টা এখনও পর্যন্ত একাধিক প্রতিষ্ঠানের ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। US Agency for International Development, এর মধ্যে অন্যতম। শিক্ষা বিভাগ তুলে দিতে গেলে আমেরিকার কংগ্রেসের অনুমতি প্রয়োজন। সেনেটে ট্রাম্পের দল রিপালিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটদের তরফেও সমর্থন প্রয়োজন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
