Iran Missile Attack: ক্রমশ তেতে উঠছে পশ্চিম এশিয়া, এবার মোসাদের সদর দফতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের
Israel Hamas War: রানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডস কর্পস (IRGC)-র তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে এমন দাবি করা হয়েছে।
নয়াদিল্লি: ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে ১০০ দিন ধরে। খাতায় কলমে এতদিন বাইরে থেকে প্যালেস্তাইনকে সমর্থন জানাচ্ছিল ইরান। এবার ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আঘাত হানল তারা। তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্ররে আঘাতে ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে গিয়েছে বলে জানাল তেহরান। সিরিয়া এবং ইরাকের স্বতন্ত্র কুর্দিস্তানে ইরান বিরোধী জঙ্গিদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে জানিয়েছে তেহরান। তাতেই ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থার সদর দফতর এবং জঙ্গিদর আস্তানা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে দাবি তাদের। (Iran Missile Attack)
ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডস কর্পস (IRGC)-র তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে এমন দাবি করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইরাকের কুর্দিস্তানের রাজধানী আরবিলে ইরান-বিরোধী জঙ্গিদের আস্তানা গড়ে উঠেছিল, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থার সদর দফতরও। ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে এবং ছয় জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরাকের কুর্দিস্তান সিকিওরিটি কাউন্সিল। (Israel Hamas War)
নিহতদের মধ্যে কুর্দিশ শিল্পপতি পেশরা দিজায়ি রয়েছেন। কুর্দিস্তানে ফ্যালকন গ্রুপ সংস্থাj মালিক তিনি। কুর্দিস্তানে গগনচুম্বী এম্পায়ার ওয়র্ল্ড-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নেপথ্যনায়ক তিনি। আরবিলে যত গগনচুম্বী বিল্জিং রয়েছে, সেখানে যে ব্যবসাকেন্দ্র গড়ে উঠেছে, তা-ও দিজায়ির হাতেই তৈরি। দিজায়ির পরিবারের কয়েক জন সদস্যও হামলায় মারা গিয়েছেন বসে খবর। দিজায়ির মৃত্যুর খবরে সিলমোহর দিয়েছেন ইরাকি কুর্দিস্তান পার্লামেন্টেপ প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার হেমিন হওরমি।
🇮🇶BREAKING: IRANIAN BALLISTIC MISSILES STRIKE NEAR U.S. CONSULATE IN IRAQ
— Mario Nawfal (@MarioNawfal) January 15, 2024
Iran claims responsibility for the barrage of missiles near the U.S. Consulate in Erbil, Iraq, citing retaliation for an Israeli strike in Syria.
The attack reportedly involved Fateh-110 ballistic… https://t.co/xIRTO7TKGg pic.twitter.com/FUUxtoTEUe
ইরান জানিয়েছে, মোসাদের সদর দফতরে আঘাত হেনেছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র। সেখানে বসেই গুপ্তচরদের নিয়ে অভিযানের পরিকল্পনা রচনা করত ইজরায়েল। সন্ত্রাসী কাজকর্মে ইন্ধনও জোগানো হত ওই সদর দফতর থেকেই। ইরানের দাবি, ইরান এবং তাদের সহযোগী দেশ, যার মধ্যে হিংসাদীর্ণ গাজাও রয়েছে, সেখানে নির্বিচারে হত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েল। তাই ইজরায়েলকে যোগ্য জবাব দিতেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে দাবি ইরানের।
সিরিয়ায় যেখানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান, সেখানে ISIS জঙ্গিদের ঘাঁটি ছিল বলে জানা গিয়েছে। কেরমান এবং রাস্কে সম্প্রতি জঙ্গি সংগঠনের হামলায় ইরানীয় নাগরিকদের মৃত্যু হয়, তার প্রতিশোধ নিতেই এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে জানিয়েছে IRGC. ইরানের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা। দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, 'ইরাকের মানুষের চাহিদাপূরণে ইরাক এবং কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকারের প্রচেষ্টায় সমর্থন জানাই আমরা। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইরান। ইরাকের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে'। তবে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে আমেরিকার কোনও সেনা শিবিরের ক্ষতি হয়নি।
সিরিয়ান অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়ার মনিটর জানিয়েছে, বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে, আলেপ্পো এবং গ্রামাঞ্চল থেকেও শোনা গিয়েছে। ভূমধ্যসাগর অভিমুখে পর পর চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে আসে। এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি কেরমানে IRGC-র জেনারেল কাসেম সোলেইমনি-র সমাধিক্ষেত্রে সমাববেশ চলাকালীন আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ৯০ জন মারা যান। সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিল ISIS. তার আগে, ডিসেম্বর মাসে রাস্কের একটি থানায় হামলা হয়, যাতে ১১ জন ইরানীয় পুলিশ মারা যান। সেই হামলার দায় স্বীকার করে জইশ-আদল (Army of Justice).
সিরিয়া এবং কুর্দিস্তানে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ একদিকে, ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধ চলছেই। তার মধ্যেই লেবানন সীমান্তেও ইজরায়েলি সেনার সঙ্গে হেজবোল্লার সংঘর্ষ চলছে। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হুথি-র বিরুদ্ধে রকেট ছুড়তে শুরু করেছে আমেরিকা এবং ব্রিটেন।