Farm Laws: সাময়িক পিছু হটলেও, ফের এগোব, কৃষি আইন ফেরানোর সম্ভাবনা উস্কে দিলেন মন্ত্রী
Farm Laws: একাধিক হিংসাত্মক ঘটনা, ৭০০-র বেশি কৃষকের মৃত্যুর পর গত ২৯ নভেম্বর কৃষি আইন প্রত্যাহারে সংসদে সিলমোহর পড়ে। আইন প্রত্যাহারের সময়ও বিরোধীদের আলাপ আলোচনার কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি।
নয়াদিল্লি: টানা দেড় বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে সবে ঘরে ফিরেছেন কৃষকরা (Farmers’ Protest) । তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর (Union Agriculture Minister) ঘোষণা, আজ না হয় কাল, বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন (Farm Laws) ফিরিয়ে আনবে সরকার। তাঁর দাবি, কৃষি আইন নিয়ে আপাতত এক কদম পিছোলেও, আগামী দিনে ফের এগোবে কেন্দ্র।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর (Narendra Singh Tomar)। সেখানে তিনি বলেন, “সরকার একেবারেই হতাশ নয়। এক কদম পিছিয়ে গিয়েছি বটে, কিন্তু ফের এগোব। কারণ কৃষকই দেশের মেরুদণ্ড।”
সংসদে কোনও রকম আলোচনায় না গিয়ে, বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র। তাতে কৃষিক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থার আধিপত্য কায়েমের রাস্তা খুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
সেই নিয়ে দিল্লি সীমানায় টানা দেড় বছর আন্দোলন চালিয়ে যান কৃষকরা। বিতর্কিত তিনটি আইন প্রত্যাহার এবং সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন উঠবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন কৃষকরা।
সেই আবহে একাধিক হিংসাত্মক ঘটনা, ৭০০-র বেশি কৃষকের মৃত্যুর পর গত ২৯ নভেম্বর কৃষি আইন প্রত্যাহারে সংসদে সিলমোহর পড়ে। তবে যে ভাবে আইন কার্যকর হয়েছিল, একই ভাবে আইন প্রত্যাহারের সময়ও বিরোধীদের আলাপ আলোচনার কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: Punjab Election 2022: রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন হরভজন?
সেই নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই শুক্রবার কারও নাম না করে বিরোধী শিবিরের নেতাদের নিশানা করেন তোমর। তিনি বলেন, “আমরা কৃষি সংশোধনী আইন এনেছিলাম। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে দেশের কৃষিক্ষেত্রে সংস্কার ঘটছিল। কিন্তু ওই তিনটি আইন কিছু মানুষের পছন্দ হয়নি। তাঁদের জন্যই আইন তিনটি তুলে নিতে হয়েছে।”
এর আগে, আইন প্রত্যাহারের (Farm Laws Repealed) সময়ও কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের পথে সংসদের কিছু সদস্য এবং কৃষকদের একাংশ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন বলে সরকারের তরফে মন্তব্য করেন তোমর। এ বার তিনিই জানালেন, কৃষি আইন ফিরিয়ে আনতে পারে সরকার।
দীর্ঘ টানাপড়েনের পর নভেম্বর মাসে আচমকা কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন মোদি। কৃষিপ্রধান উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই আইন প্রত্যাহার করা হল বলে সেই সময় অভিযোগ করেন বিরোধীরা। তাঁদের আশঙ্কা সত্যি করেই লাগাতার কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষস্তরীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতাদের কৃষি আইন ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। এ বার তাতে নয়া সংযোজন খোদ দেশের কৃষিমন্ত্রী।