হেমন্ত সোরেনের শপথে থাকবেন রাহুল, প্রিয়ঙ্কা, মমতা, সম্ভবত আসছেন না সনিয়া
চলতি সপ্তাহের শেষেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নতুন সরকারের দায়িত্ব নেবেন শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত।
রাঁচি: হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বসতে চলেছে চাঁদের হাঁট। বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের মহাতারকারা উপস্থিত থাকবেন তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢড়া সহ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের মতো একেবারে শীর্ষনেতারা যেমন থাকছেন, তেমনই এই অনুষ্ঠানে থাকার কথা রয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শরিক আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং সমাজবাদী নেতা অখিলেশ যাদবের। এরা প্রত্যেকেই সোরেনের শপথগ্রহণে থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে ঝাড়খণ্ডের ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর শপথ সমারোহতে সম্ভবত থাকছেন না কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। জেএমএম নেতা নিজে গিয়ে সনিয়ার সঙ্গে দেখা করে নিমন্ত্রণ দিয়ে এসেছেন। তিনি আশাবাদী ছিলেন সনিয়া আসবেন।
কংগ্রেস, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টির নেতারা ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে থাকার কথা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, মধ্যপ্রদেশে ও রাজস্থানের দুই কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ এবং অশোক গেহলোতের। শপথের দিন থাকতে পারেন পরশি রাজ্য ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলেরও। তাছাড়াও থাকার কথা রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (কর্ণাটক) এইচ ডি কুমারস্বামী, কেসি বেনুগোপাল, এন চন্দ্রবাবু নাইডু, হরিশ রাওয়াত সহ সাংসদ কানিমোঝি, শরদ যাদব ও আহমেদ পটেলের।
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের ৮০টি আসনের মধ্যে ৪৭টি আসন জিতে ক্ষমতা দখল করে জেএমএম-র নেতৃত্বাধীন জোট। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ৩০টি আসন পায় সোরেনের দল। ২৫টি আসন যায় বিজেপির দখলে। যার ফলে ক্ষমতা হারায় বিজেপি। চলতি সপ্তাহের শেষেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নতুন সরকারের দায়িত্ব নেবেন শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত।