Medical College: ত্রিপুরায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে কলেজ তৈরির ছাড়পত্র, তুঙ্গে তরজা
ত্রিপুরায় তৈরি হচ্ছে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। তা নিয়ে বিতর্কের ঢেউ উঠতেই জড়াল বাংলার নাম।
প্রসেনজিৎ সাহা, আগরতলা: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ছাড়পত্র দিয়েছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। একসময় যাঁর বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত ছিল বঙ্গ বিজেপি, তাঁকেই আগরতলা শহরের উপকণ্ঠে প্রায় দুশো বিঘা জমির ওপর মেডিক্যাল কলেজ গড়ার অনুমতি দিয়েছে মানিক সাহার সরকার। তা নিয়ে চড়ছে বিতর্কের পারদ।
ত্রিপুরায় তৈরি হচ্ছে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। তা নিয়ে বিতর্কের ঢেউ উঠতেই জড়াল বাংলার নাম। আর এই বিতর্কের কেন্দ্রে যিনি রয়েছেন, তিনি হলেন মলয় পিট, গরুপাচার মামলায় জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। একসময় যাঁর বিরুদ্ধে খড়গহস্ত ছিল বঙ্গ বিজেপি। সেই পিটের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকেই এবার ছাড়পত্র দিল বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা সরকার। আগরতলা শহরের উপকণ্ঠে প্রায় ২০০ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মলয় পিটের ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ।
মলয় পিট বীরভূমের ব্যবসায়ী। বীরভূমকে কেন্দ্র করে রাজ্যে অন্তত ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা রয়েছে তাঁর। যার সিংহভাগই হল মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। স্বাধীন ও সতীর্থ চ্যারিটেবল নামে দুটি ট্রাস্টের কর্ণধার মলয় পিট। শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ ও শান্তিনিকেতন ইনস্টিটিউট অফ পলিটেকনিকেরও মালিক তিনি। ব্যবসা বাড়ানোর লক্ষ্যে এবার তিনি পা বাড়িয়েছেন প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায়। আর তার দিকেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে সেখানকার বিজেপি সরকার।
বাংলায় গরুপাচার মামলার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ঠ এই মলয় পিটকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI এর আগে অনুব্রতর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যারেজে 9555 নম্বর প্লেটের একটি মাহিন্দ্রা আলটুরাস গাড়ির হদিশ মেলে। সেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ছিল মলয় পিটের স্বাধীন ট্রাস্টের নামে। গরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের স্ক্য়ানারেও ছিল মলয় পিটের একাধিক প্রতিষ্ঠান। তাঁর বোলপুরের শান্তিনিকেতন ইনস্টিটিউট অফ পলিটেকনিক কলেজে তল্লাশি চালিয়ে নথিও বাজেয়াপ্ত করেছিল CBI. এহেন মলয় পিটকে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার কীভাবে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার অনুমতি দিল, তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারকে চিঠি দিয়েছেন সেখানকার বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, "এখন এই সংস্থা যদি, পশ্চিমবঙ্গে যে মামলা চলছে, সেই কারণে এটা ভেঙে দেওয়া হয়, তাদের সমস্ত ফিনান্স, পুঁজি আটকে দেওয়া হয়, ইনকাম ট্যাক্স বা ED যদি বাজেয়াপ্ত করে, তখন এই হাসপাতাল কীভাবে চলবে? এই হাসপাতালে যদি ছাত্র ভর্তি হয়, তাদের ভবিষ্যতের কী হবে?'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: West Bengal: ৩ কর্পোরেশনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে বিজেপি, জোড় টক্কর চন্দননগরে