Ranji Trophy: প্রিয় চান্দু স্য়ারকে রঞ্জির অ্য়ালেক্স ফার্গুসন বললেন দীনেশ কার্তিক
Ranji Trophy 2022: প্রথমবার রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradehsh)। যে মুম্বইকে হারিয়ে খেতাব জয়, সেই মুম্বইকেই এর আগে তিনবার রঞ্জিতে খেতাব এনে দিয়েছেন।
বেঙ্গালুরু: ভারতীয় ক্রিকেটে তিনি চান্দু স্য়ার নামেই পরিচিত। ক্রিকেটার হিসেবে সাফল্য আসেনি। জাতীয় দলেও বেশিদিন খেলতে পারেননি। কিন্তু কোচ হিসেবে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের কেরিয়ার যেন সোনায় সোহাগা। তাঁর কোচিংয়েই এবার মুম্বইকে হারিয়ে প্রথমবার রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradehsh)। যে মুম্বইকে হারিয়ে খেতাব জয়, সেই মুম্বইকেই এর আগে তিনবার রঞ্জিতে খেতাব এনে দিয়েছেন। বিদর্ভের কোচ হিসেবে সাফল্য পেয়েছেন ২ বার। ঘরোয়া ক্রিকেটে এত সাফল্য আর কোনও ভারতীয় কোচের নেই। মধ্যপ্রদেশকে চ্যাম্পিয়ন করা চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে এবার রঞ্জি ট্রফির অ্যালেক্স ফার্গুসন বলে সম্বোধন করলেন দীনেশ কার্তিক।
ভারতীয় দলের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়েছেন কার্তিক। সেখানে থেকেই ট্যুইটারে মধ্যপ্রদেশ দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিজ্ঞ এই উইকেট কিপার ব্যাটার লেখেন, "অসাধারণ ছবি শেয়ার করেছে বিসিসিআই। চন্দু স্যার আপনার জন্য খুব খুশি হয়েছি। অসাধারণ। ক্রিকেটারদের চরিত্র বুঝে সেভাবে তাদের তৈরি করেন। চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ট্যাকটিকালি ব্যবহার করেন। উনি রঞ্জি ট্রফির অ্যালেক্স ফার্গুসন।''
Lovely pictures @BCCI
— DK (@DineshKarthik) June 26, 2022
Couldn’t be happier for CHANDU sir . Amazing
- Understanding personality traits
- Preparing them accordingly
- Using them tactically to win championships 🏆
ALEX FERGUSON of RANJI trophy #GOAT https://t.co/N7CdX3WU2b
শুধু কার্তিকই নন, ওয়াসিম জাফর নিজের ট্যুইটারে লিখেছেন, ''চান্দু ভাই, তোমাকে মানতেই হবে। প্রথমে মুম্বই, তারপর বিদর্ভ এখন মধ্যপ্রদেশ। অসাধারণ। ট্রফি জেতানোর ক্ষেত্রে তুমি সেরা। অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তব, মধ্যপ্রদেশ দল এবং সাপোর্ট স্টাফদের রঞ্জি জয়ের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।''
১৯৯৮-৯৯ মরসুমে ২৪৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে চিন্নাস্বামীতে রঞ্জি ফাইনালে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল পণ্ডিতের নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশ। এবার যেন সেই শাপমোচন হল। এবার মরসুম শুরুর আগে ঈশ্বর পাণ্ডে চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন। এছাড়াও আবেশ খান, ভেঙ্কটেশ আইয়ারের মত ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকায় ফাইনালে খেলতে পারেননি। তুলনায় মুম্বই শিবির অনেক তারকা সমৃদ্ধ ছিল। তবুও শেষ হাসি হাসল মধ্যপ্রদেশই।