Siddhivinayak Temple: মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে রেকর্ড আয় ! ভক্তদের দানেই কোষাগারে জমল ১৩০ কোটি টাকা
Siddhivinayak Temple Record Income: প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত, বলিউড তারকা, ব্যবসায়ী গণেশ চতুর্থীর দিন এই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে এসে পুজো দেন। অন্যান্য উৎসবেও তাদের সমাগম দেখা যায়।

মুম্বই: প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত মুম্বইয়ের প্রসিদ্ধ সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির দর্শনে আসেন। ভারতীয়দের কাছে এই মন্দির এক গভীর বিশ্বাসের পুণ্যভূমি। সাধারণ মানুষ থেকে কোটিপতি, তারকারাও তাদের প্রার্থনা জানানোর জন্য এই মন্দিরে আসেন। আর এবারে এই মন্দিরের (Siddhivinayak Temple) আয় সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির সারা বছরে শুধুমাত্র ভক্তদের দানের মাধ্যমেই ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছে যা এখনও পর্যন্ত এই মন্দিরের সর্বোচ্চ বার্ষিক উপার্জন।
বেলা জয়সিংহাইয়ের রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের আয় হয়েছিল ১১৪ কোটি টাকা (Siddhivinayak Temple) আর ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই উপার্জন এক লাফে ১৫ শতাংশ বেড়ে হয়ে গিয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। অনুমান করা হচ্ছে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের শেষে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের বার্ষিক আয় আরও বেড়ে পৌঁছে যাবে ১৫৪ কোটি টাকায়।
মন্দিরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে এই মন্দিরের ভক্তদের থেকে নগদ, অনলাইন লেনদেন, সোনা রুপোর দানের মাধ্যমেই বিপুল আয় হয়েছে এই বছরে। প্রতি বছর ভক্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং অনলাইন লেনদেনের (Siddhivinayak Temple) অঙ্কও বেড়ে চলেছে। ফলে এই আয় বাড়ার আড়ালে এটিও একটি কারণ। সোনা এবং রুপোর মাধ্যমেই এই মন্দিরে ৭ কোটি টাকা দান জমা হয়েছে, ৯৮ কোটি টাকা এসেছে নগদ যা জমা হয়েছিল অনুদানের বাক্সে। পুজা বুকিং বা প্রসাদের কুপনের থেকে এসেছে আরও ১০ কোটি টাকা।
প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত, বলিউড তারকা, ব্যবসায়ী গণেশ চতুর্থীর দিন এই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে এসে পুজো দেন। অন্যান্য উৎসবেও তাদের সমাগম দেখা যায়। এছাড়া সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের মত ভারতের অন্যান্য আরও ধর্মীয় স্থানেও লক্ষ লক্ষ ভক্তদের থেকে বিপুল অনুদান পাওয়া যায়। অন্ধ্রপ্রদেশের ভেঙ্কটেশ্বরা মন্দিরের বার্ষিক আয় ১৫০০ কোটি টাকা থেকে ১৬৫০ কোটি টাকা যার পুরোটাই আসে অনুদান থেকে।
অন্যদিকে কেরালার পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের বার্ষিক আয় ৭৫০ থেকে ৮০০ কোটি টাকা। একইভাবে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরেও এই সঞ্চিত অনুদানের টাকা সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির ট্রাস্ট কর্তৃক মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা, বিস্তার, মন্দিদের কাজ, শিক্ষা, চিকিৎসা পরিষেবা, দরিদ্রদের সহায়তা, সামাজিক উন্নতি প্রকল্পে খরচ করে থাকেন।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও জমা পড়ে অঢেল অনুদান। সংবাদসূত্র অনুসারে ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিন বছরে কেবলমাত্র অনুদানের খাতেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কোষাগারে জমা হয়েছে ১১৩ কোটি টাকা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
