Money Laundering Case: ২৭ হাজার কোটির আর্থিক জালিয়াতি ! এই গ্রুপের ৫৫৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
Amtek Group Financial Scam: এর আগেও ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে ৫১১৫.৩১ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

Bank Fraud Case: ২৭ হাজার কোটির আর্থিক জালিয়াতির মামলায় এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বড় পদক্ষেপ করল। অ্যামটেক গ্রুপের জালিয়াতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে সংস্থার ৫৫৭ কোটির অস্থাবর সম্পত্তি (Money Laundering Case) বাজেয়াপ্ত করা হল। অ্যামটেক গ্রুপ এবং তাঁর সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত ছোটখাটো সংস্থার সম্পত্তি একত্রে ক্রোক করল ইডি। ২০২২ সালের আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধী আইনে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। অ্যামটেক অটো লিমিটেড, এআরজি লিমিটেড, এসিআইএল লিমিটেড, মেটালিস্ট ফোর্জিং লিমিটেড এবং ক্যাসটেক্স টেকনোলজিস লিমিটেড সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে ইডি। অ্যামটেক গ্রুপের (Amtek Auto Group Fraud Case) মালিক অরবিন্দ ধামের বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলছে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিরাও এখন সন্দেহভাজন হিসেবে রয়েছেন।
এটাই প্রথম নয়, এই গ্রুপের জালিয়াতি মামলায় ইডি এত বড় অঙ্কের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল। এর আগেও ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে ৫১১৫.৩১ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এই মামলায় পিএমএলএ-র বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষও ইডির এই পদক্ষেপে সম্মতি জানিয়েছেন। এই ঘটনা থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে যে কোনও ধরনের আর্থিক জালিয়াতির বিরোধিতা করা হয়।
কীভাবে হল এই বিপুল অঙ্কের জালিয়াতি
অটোমোবাইল সেক্টরে অ্যামটেক গ্রুপের একটি বড় অবদান ছিল। কিন্তু দিনের পর দিন এই সংস্থার উপর ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে। অভিযোগ যে ব্যাঙ্কের থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে ঋণের টাকা নিয়ে তা সংস্থার কাজে লাগানোর বদলে তা অন্যত্র পাঠিয়ে আর্থিক জালিয়াতি করেছিল এই অ্যামটেক গ্রুপ। ইডির তদন্তে আরও উঠে আসে অ্যামটেক গ্রুপ বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমেই এই টাকা স্থানান্তর করত আর ঋণের টাকা অনৈতিকভাবে ব্যবহার করত। এই কারণে বহু ব্যাঙ্কের কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির
দেশের অন্যতম বড় কর্পোরেট জালিয়াতিগুলির মধ্যে পড়ে অ্যামটেক গ্রুপের এই জালিয়াতি। শেষ কয়েক বছরে। বহু শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা দেশ থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছেন। ব্যাঙ্ক লুট করে ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিয়ে তা অনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ফেরার হয়েছেন তারা। তাই ব্যাঙ্কগুলির এই ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সরকারি এজেন্সিগুলি এখন অত্যন্ত তৎপর হয়েছে।
তদন্ত এখনও চলছে
ইডির এই পদক্ষেপের পরে আরও এক দফা তদন্ত আয়োজিত হয়। এই জালিয়াতির সঙ্গে আরও কারা কারা সংযুক্ত ছিলেন তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ইডি। এমনকী কীভাবে এই বিপুল অঙ্কের জালিয়াতির পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা নিয়েও চলছে তদন্ত। এবার সম্প্রতি অ্যামটেক গ্রুপের ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতি মামলায় ৫৫৭ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
