(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Shamik on Dengue: "সমাজবিরোধীদের মতোই এখানে মশারাও ভয়মুক্ত, জানে রাজ্য সরকার কিছু করতে পারবে না", ডেঙ্গিতে সরব শমীক
Fear of Dengue: চরিত্র বদলে আরও ভয়ঙ্কর ডেঙ্গি! সময়ে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে চিকিৎসকদের
কলকাতা : "আমাদের রাজ্যে সমাজবিরোধীরা যেমন ভয়মুক্ত হয়ে গেছে যে, পুলিশ তাদের কিছু করতে পারবে না, সেরকমই মশারাও ভয়মুক্ত হয়ে গেছে যে, এই সরকার বা পুরনিগম তাদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। তারাও নির্ভয়ে বিচরণ করছে।" সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইয়ের তথ্য সামনে আসতেই ডেঙ্গি (Dengue) ইস্যুতে রাজ্যকে বিঁধলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। সুর চড়ালেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakraborty)। পাল্টা উত্তর দিয়েছে তৃণমূলও।
চরিত্র বদলে আরও ভয়ঙ্কর ডেঙ্গি ! সময়ে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে চিকিৎসকদের। স্বাভাবিকভাবেই ডেঙ্গির দাপট নিয়ে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। এই উদ্বেগের মধ্যেই নতুন বিতর্ক দানা বাঁধল। চলতি বছরে ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে দেয়নি বলে দাবি সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের । কেন্দ্রীয় সংস্থার ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি। এর আগে ২০১৮ এবং ’১৯ সালেও রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
এপ্রসঙ্গে রাজ্যকে একহাত নিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "ডেঙ্গি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কোথাও কোনও তৎপরতা নেই। ডেঙ্গি রোধ করার জন্য পুরনিগমের যে ভূমিকা থাকা উচিত, জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য যে কর্মসূচি নেওয়া উচিত এবং কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত সেটা একবিন্দু মানে না। সেটা দিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না। আমাদের রাজ্যে সমাজবিরোধীরা যেমন ভয়মুক্ত হয়ে গেছে, যে পুলিশ তাদের কিছু করতে পারবে না, সেরকমই মশারাও ভয়মুক্ত হয়ে গেছে যে এই সরকার বা পুরনিগম তাদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। তারাও নির্ভয়ে বিচরণ করছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই যে, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল কলকাতায় রেফার করছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করছে, সেখানে ডেঙ্গি শব্দ নেই। কোথাও বলছে, অজানা জ্বর, কোথাও বলছে পাহাড়ি জ্বর। মুর্শিদাবাদ জেলা, মালদা জেলায় এধরনের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এখানেও ডেঙ্গি প্রতিরোধ করার যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন আছে, সরকারকে যতটা তৎপর হতে হয়, মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যমন্ত্রীর যতটা মধ্যস্থতার প্রয়োজন আছে সেটা হচ্ছে না। কার্যত মানুষকে খোলা মৃত্যুর দিকে, অসহায় অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।"
সুর চড়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। বলেন, "যা ক'দিন ধরে বলছিলাম, তা আরও একবার স্পষ্ট হল। সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের তথ্য বলছে রাজ্য সরকার ডেঙ্গির কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি। রাজ্য সরকার তো ডেঙ্গির পরিসংখ্যান দেয় না। ডেঙ্গিটাকে তো গোপন করে। অজানা জ্বর বলে। আসলে সত্যকে গোপন করা। রাজ্য সরকার, পুরনিগম ব্যর্থ হচ্ছে। এখন সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিক। এখন তদ্বির করা হচ্ছে, কোথায় কী খতিয়ে দেখা হচ্ছে ! দেখাটা জরুরি ছিল, জুলাই-অগাস্ট মাসে। যখন বর্ষাটা বাড়ছে তখন। এখন কেন ? এখন তো যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গেছে। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং অস্বীকার করা হয়েছে তথ্যকে। তথ্য গোপন করলে মানুষের লাভ হবে না।"
যদিও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলছেন, "সেন্টারের ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের যে প্রতিষ্ঠান আছে, তারা এর আগে বহুবার বাংলার তথ্যকে প্রশংসা করেছে। আজকে তারা যে তথ্যটা দিচ্ছে, সেই তথ্যটা ঠিক নয়। বাংলায় ডেঙ্গি সংক্রান্ত যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সেটা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পাঠানো হয়। ডেঙ্গি শুধু পশ্চিমবঙ্গে ইস্যু নয়, এটা একটা গ্লোবাল ইস্যু। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় নিয়ন্ত্রণে আছে ডেঙ্গি।"