Primary TET Job : টেটে প্রশ্ন ভুল, প্রাথমিকে আরও ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
Calcutta High Court : ২০১৪ টেট পরীক্ষায় মূলত ছ'টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ভুল প্রশ্নের কারণেই টেট পরীক্ষায় তাঁরা কৃতকার্য হতে পারেননি বলে অভিযোগ ছিল মামলাকারীদের ।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : প্রাথমিকে আরও ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay)। টেটে প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলায় আরও ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ। অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই মামলায় ৩ দফায় ২৭২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
ভুল প্রশ্নে আগেও চাকরি
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রাথমিকে টেটে ভুল প্রশ্ন মামলায় এর আগেও চাকরির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে ১৮৫ জন, তারপর আরও ৬৫ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মামলাতেও এদিন আরও ২২ জনকে চাকরির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। যার ফলে এই নিয়ে প্রাথমিক টেটে ভুল প্রশ্নে এখনও পর্যন্ত ৩ দফায় মোট ২৭২ জনকে চাকরির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
ঠিক কী অভিযোগ
২০১৪ টেট পরীক্ষায় মূলত ছ'টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ভুল প্রশ্নের কারণেই টেট পরীক্ষায় তাঁরা কৃতকার্য হতে পারেননি বলে অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্তে সেই চাকরিপ্রার্থীদের ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাড়তি ৬ নম্বর করে দেওয়া হয়। যার ভিত্তিতে মামলাকারীরা টেট উত্তীর্ণ হয়। অভিযোগকারীদের বক্তব্য ছিল, নম্বর কম থাকায় ২০১৬ ও ২০২০- এই দুটি সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল, তাতে চাকরি পাননি তাঁরা। যার জেরেই তাঁদের প্রত্যেককেই চাকরি নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ীই আরও ২২ জনকে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, প্রাথমিকে আরও ২৫২ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘২০২০ সালে প্রাথমিক নিয়োগের পর এখনও ৩৯২৯ টি শূন্যপদ রয়েছে’, তার মধ্যে থেকেই ২৫২ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ। সব নথি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত প্রার্থীদের চাকরির নির্দেশ। ২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত হয়। ২০১৬ সালে ৪২০০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়, অন্যটি ২০২০ সালে ২৫২ জন প্রার্থী আদালতে অভিযোগ করেন, ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শূন্যপদ আছে। ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন। মামলা চলাকালীন দেখা যায়, ৩৯২৯টি শূন্যপদ আছে। ১১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন- রাজ্যের ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের পরিপন্থী, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট