Dholahat Incident Update: ঢোলাহাটকাণ্ডে মৃত একই পরিবারের আট, IC-র করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
South 24 Parganas: বিস্ফোরণের ঘটনায় বণিক পরিবারের ৫ জনের নামে FIR দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন মৃত।

পার্থ প্রতিম ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঢোলাহাটে বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Dholahat Incident Update) চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। ঢোলাহাট থানার IC-র করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় উল্লেখ করেছেন, 'বণিক পরিবারের বাজি কারখানার কোনও লাইসেন্স ছিল না। বাড়িতে গ্য়াস সিলিন্ডারের পাশে বেআইনি বাজি মজুত করে রাখা ছিল। সোমবার রাত ৮টা ২৫-এ মজুত বাজিতেই বিস্ফোরণ হয়।'
ঢোলাহাটে বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ঢোলাহাট থানার IC-র করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় স্পষ্ট উল্লেখ, বণিক পরিবারের বাজি কারখানার কোনও লাইসেন্স ছিল না। বাড়িতে গ্য়াস সিলিন্ডারের পাশে বেআইনি বাজি মজুত করে রাখা ছিল। সোমবার রাত ৮টা ২৫-এ মজুত বাজিতেই বিস্ফোরণ হয়। ঢোলাহাট থানার IC দেবাশিস রায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় এই তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় বণিক পরিবারের ৫ জনের নামে FIR দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন মৃত। দুই ভাই চন্দ্রকান্ত বণিক ও তুষার বণিক ছাড়াও তাঁদের বাবা মৃত অরবিন্দ বণিক এবং দুই ভাইয়ের স্ত্রী সান্ত্বনা বণিক ও সুতপা বণিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। চন্দ্রকান্ত গ্রেফতার হলেও ছোট ভাই তুষার বণিক পলাতক।
যদিও গতকাল মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, লাইসেন্স ছিল তাদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এখানে নিশ্চয়ই যে ঘটনা ঘটেছে, তার তো লাইসেন্স হোল্ডার ছিল, সে তো লাইসেন্স হোল্ডার। আপনার বাড়িতে আপনি তো গ্যাসটাকে সামলে রাখবেন। আমার বাড়িতে ধরুন, আমি তো রান্না করি না। যারা করে, তাদের দায়িত্ব গ্যাসটাকে সামলে রাখার। এটা আমাদের অনেক শিক্ষা দেয়। লাইসেন্স হোল্ডার ক্র্যাকার, আর গুজরাতে যে ২৫ জন মারা গেছে, সেটা লাইসেন্স হোল্ডার নয়।''
এদিকে ঢোলাহাটকাণ্ডের পর পূর্ব মেদিনীপুরে বেআইনি বাজি উদ্ধারে তৎপর হয়েছে পুলিশ। গতকাল কোলাঘাটের পয়াগ গ্রামে তমলুকের CI ও কোলাঘাট থানার OC-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালায়। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮০০ কেজি বাজির মশলা ও উপকরণ। এই পয়াগ গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি বাজি তৈরি হয়। গত বছরের ৯ জুন, এই গ্রামে বেআইনি বাজির গুদামে বিস্ফোরণ ঘটে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রশ্ন উঠছে, তারপরও কীভাবে চলছিল বেআইনি বাজির কারবার? পুলিশের নজরদারি কোথায়? ঢোলাহাটকাণ্ডের পর গত দু'দিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় ৪০০ কেজি বাজি ও বাজি তৈরির মশলা এবং ৭ হাজার ৮০০ প্যাকেট বাজি। নন্দীগ্রাম, মহিষাদল, ভূপতিনগর, পটাশপুর, মারিশদা, রামনগর থানা এলাকা থেকে সবথেকে বেশি বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
