Canning Militant Arrest: ৭ বার পাকিস্তান গিয়েছে ক্যানিং থেকে ধৃত জঙ্গি, করাচিতে হয়েছে আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ
Canning Kashmiri Militant: কাশ্মীর পুলিশের থেকে তথ্য পেয়ে বেঙ্গল এসটিএফ ক্যানিং থেকে গ্রেফতার করেছিল জাভেদ আহমেদ মুন্সিকে। জামাইবাবুর বাড়িতে এসেছিল সে। এই প্রথম নয়। এর আগেও সে এসেছিল কলকাতায়।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনকে লজিস্টিক সাপোর্ট দিত ক্যানিং থেকে ধৃত কাশ্মিরী জঙ্গি জাভেদ আহমেদ মুন্সি। সে যে আইইডি বিস্ফোরক তৈরিতে অত্যন্ত প্রশিক্ষিত তা আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে সক্ষম সে। আল-কায়দার কাছ থেকে পেয়েছিল প্রশিক্ষণ। এর পাশাপাশি এবার জানা গিয়েছে যে, ক্যানিং থেকে ধৃত জাভেদ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ সেন্টার চালাত। সেই সেন্টারের নাম ছিল তেহরিক-ই-মুজাহিদিন। ১৯৯০ সালে পাকিস্তানে জঙ্গি-প্রশিক্ষণ শেষ করে জাভেদ মুন্সি। পাকিস্তানের করাচিতে হয় তার আইইডি প্রশিক্ষণ। ২০১১ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-ই-হাদিতের নেতা সওকত শাহ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এই জাভেদ আহমেদ মুন্সি।
জাভেদ মুন্সি ৭ বার পাকিস্তানে গিয়েছে, এমন তথ্য ইতিমধ্যেই পুলিশ আধিকারিকদের হাতে এসেছে। পাকিস্তানের করাচিতে ৭ মাসের ট্রেনিং নেয় সে। এই প্রশিক্ষণ ছিল আইইডি তৈরি করার। ট্রেনিংয়ের পর একদম এক্সপার্ট হয়ে কাশ্মীরে ফিরে আসে জাভেদ আহমেদ মুন্সি। তার কাজ ছিল মূলত কাশ্মীরে বসে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জঙ্গি মতাদর্শ ঢোকানো। অন্যদিকে জানা গিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গে এসে বাংলাদেশে যাওয়ার যে ছক জাভেদের ছিল সেই পরিকল্পনা করে দিয়েছিল লস্করের হ্যান্ডলাররা। তার কাজ ছিল বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ব্যবহার করে আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনা, জঙ্গি কার্যকলাপ বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেওয়া।
কাশ্মীর পুলিশের থেকে তথ্য পেয়ে বেঙ্গল এসটিএফ ক্যানিং থেকে গ্রেফতার করেছিল জাভেদ আহমেদ মুন্সিকে। জামাইবাবুর বাড়িতে এসেছিল সে। জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয়। এর আগেও সে এসেছিল কলকাতায়। গিয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখতেও। ধৃত জাভেদের আত্মীয়ের দাবি সে বেড়াতে এসেছিল। শুধু ঘুরতে এসেছিল। কিন্তু গোয়েন্দাদের অনুমান, হয়তো রেকি করতে কলকাতায় এসেছিল জাভেদ। আদৌ এটাই আসল উদ্দেশ্য কিনা, কাদের নির্দেশে জাভেদ কলকাতায় এসেছিল, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জাভেদের থেকে ৫০ হাজার টাকা, দুটো মোবাইল ফোন, হাতে লেখা নোট উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। হাতে লেখা নোটে কী কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জাভেদকে তা ডিকোড করার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। শ্রীনগরের চানপুরার বাসিন্দা জাভেদ আহমেদ মুন্সি এর আগে একাধিকবার বাংলাদেশে গিয়েছে। সূত্রের খবর, লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে এবারও বাংলাদেশে যাওয়ার ছক ছিল ধৃত জাভেদ মুন্সির। সূত্রের দাবি, ক্যানিং থেকে নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার ছক কষেছিল জাভেদ। দিল্লি থেকে বিমানে কলকাতা এসে তারপর গাড়ি করে জাভেদ গিয়েছিল ক্যানিংয়ে।
আরও পড়ুন- টোপে অরুচি, পছন্দ গৃহপালিত গবাদি পশু, এখনও দেখা নেই বাঘিনীর
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।