WB Birth Certificate Scam: রাজ্যজুড়ে মোটা টাকার বিনিময়ে জাল বার্থ সার্টিফিকেট সরবরাহ ! তবে কি সরকারি ওয়েবসাইটও হ্যাক ?
West Bengal Birth Certificate Scam: জাল বার্থ সার্টিফিকেট কাণ্ডে পুলিশি তদন্তে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য !
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: রীতিমতো ওয়েবসাইট তৈরি করে, মোটা টাকার বিনিময়ে জাল নথি রাজ্যজুড়ে সরবরাহ করত চক্রের পান্ডারা ! পুলিশি তদন্তে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জাল বার্থ সার্টিফিকেট কাণ্ড গ্রেফতার আরও ১। হুগলির খানাকুল থেকে গ্রেফতার ভাস্কর সামন্ত। এই নিয়ে জাল নথি তৈরি কাণ্ডে গ্রেফতার ৫। ধৃতের নাম ভাস্কর সামন্ত। হুগলির খানাকুল থেকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রীতিমতো ওয়েবসাইট তৈরি করে জাল জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি করা হতো তার বিনিময়ে চলত টাকার লেনদেন।তবে সরকারি ওয়েব সাইট হ্যাক করা হত কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃত ভাস্কর সামন্তকে আজ পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য কয়েক মাস আগে আবেদন করেন বর্ধমান থানা এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কা দাস। পাসপোর্টের আবেদনে তিনি জন্ম শংসাপত্র জমা দেন।সেটি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। আবেদনটি ভেরিফিকেশনের জন্য বর্ধমান জেলা গোয়েন্দা দপ্তরে পাঠানো হয়।গোয়েন্দা দফতর থেকে রিঙ্কাকে অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি অরিজিনাল নথিপত্র নিয়ে গোয়েন্দা দফতরে দেখা করেন। তাঁর জন্ম শংসাপত্রটি সঠিক কিনা তা জানতে গোয়েন্দা দফতরের তরফে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সেটি জাল বলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানিয়ে দেন।
এরপরই গোয়েন্দা দপ্তরের তরফে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে ১৯ ডিসেম্বর রিঙ্কাকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। রিংকা-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে,জাল শংসাপত্রটি তাকে স্বরূপ রায় জোগাড় করে দিয়েছে টাকার বিনিময়ে।এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ স্বরূপ রায় ওরফে রামু-কে গ্রেপ্তার করে।বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর এলাকায় তার বাড়ি।তাকে জেরা করেই পুলিশ এই দুজনের হদিশ পায়। এরপরই বর্ধমান থানার পুলিশ সিঙ্গুর থেকে প্রথমে গনেশ চক্রবর্তী ও গনেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অর্নিবান সামন্ত-কে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন, বাংলাদেশি পাচারকারীদের হামলার মুখে BSF ! ধাওয়া করে ধরতে গেলে জওয়ানদের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অর্নিবান ভাস্করের নাম বলে।হুগলীর খানাকুলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ভাস্কর-কে গ্রেপ্তার করে। রীতিমতো ওয়েবসাইট তৈরি করে সমগ্র বাংলা জুড়ে জাল জন্ম সার্টিফিকেট ও নথি তৈরী করত ভাস্কর।তবে সরকারি ওয়েব সাইট হ্যাক করা হতো কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা। জাল জন্ম সার্টিফিকেট ও নথি তৈরির জন্য রীতিমতো নিয়োগ করা হয়েছিল এজেন্ট। পুলিশের অনুমান, রাজ্য জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জাল জন্ম সার্টিফিকেট ও নথি তৈরীর চক্র।কীভাবে চলতো জাল জন্ম সার্টিফিকেটের নেটওয়ার্ক। স্বরুপ,গনেশ কাস্টমারের ডিটেলস নিয়ে পাঠিয়ে দিত অর্নিবাণের কাছে। অর্নিবাণ সেগুলি পাঠিয়ে দিত ভাস্করের কাছে। ভাস্কর নকল বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করে আবার তা পৌছে দিত কাস্টমারের কাছে।যার বিনিময়ে নেওয়া হত মোটা অঙ্কের টাকা।