Remal Cyclone Update: উত্তরে দুর্যোগের আশঙ্কা, কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে দক্ষিণবঙ্গ?
Weather Update: রেমালে লন্ডভন্ড বিভিন্ন জায়গা। এখনও তার ক্ষত স্পষ্ট। কবে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে?
কলকাতা: আজও থাকবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব (Cyclone Remal Update)। রাতভর তাণ্ডবের পর আজও রয়েছে রেমাল-রেশ। আবহাওয়া দফতরের তরফে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বইবে দমকা হাওয়াও। তবে এরই মধ্যে রয়েছে আশার আলো। আগামীকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতির পূর্বাভাস।
কেমন থাকবে আবহাওয়া?
আজও রাজ্যের সব জেলায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গের জন্য কোনও সতর্কবার্তা নেই। তবে সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জন্য। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার উন্নতি হবে। তবে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে এই তিন জেলায়। রাজ্যের সব জেলায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আগামীকাল শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গে ৪০-৫০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
উপকূলীয় বাংলাদেশ এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের উপর ঘূর্ণিঝড় " রিমাল " pic.twitter.com/rHfat93iW7
— IMD Kolkata (@ImdKolkata) May 27, 2024
দুর্যোগের মাঝেই সুখবর। দক্ষিণবঙ্গে কাটতে চলেছে রেমাল-দুর্ভোগ। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের ল্যান্ড ফলের পর, তার শক্তিক্ষয় হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় হয়ে এগোচ্ছে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অভিমুখে। আর তার জেরেই উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের ফাঁড়া কাটলেও, ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির হতে পারে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ লাল সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ২৯ মে থেকে পয়লা জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
রেমাল-দুর্যোগে বেসামাল কলকাতা। রবিবার মাঝরাতে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। তার জেরে কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টি হয়। আর তাতে বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে পার্কসার্কাসের একাংশ। তপসিয়া থেকে বেকবাগান মোড় পর্যন্ত জল থই-থই রাস্তা। জল ঢুকে গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ে বাড়ি অফিস যাত্রীদের। শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা হাইড রোড। কলকাতা বন্দর লাগোয়া এই রাস্তা দিয়ে পণ্যবাহী যান চলাচল করে। জল এতটাই জমে যে, গাড়ি বিকল হয়ে বাড়ে ভোগান্তি। একদিনের বৃষ্টিতে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির সামনের রাস্তা যেন নদী। দ্রুত জল নামাতে রাস্তায় নামেন কলকাতার পুরসভার কর্মীরা। এয়ার ভ্যাকিউম জেটের সাহায্যে জল তুলে অন্যত্র ফেলে আসা হয়। কোমর সমান জল জমে যায় সুকিয়া স্ট্রিট,আমহার্স্ট স্ট্রিটেও। জলমগ্ন হয়ে পড়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। বউবাজারে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটেও একই অবস্থা। বেহালার পাঠকপাড়া এলাকায় রাস্তায় জল তো জমেছেই,বাড়িতেও জল ঢুকে যায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Remal Cyclone Update: টানা বর্ষণের জের, দক্ষিণ-পূর্ব শাখাতে ব্যাহত রেল পরিষেবা