School Drop Out: স্কুলে কমেছে পড়ুয়াদের সংখ্যা, ছাত্রদের ফেরাতে জেলায় জেলায় উদ্যোগ
School Drop Out Problem: বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে বহু পড়ুয়ার। একাধিক স্কুলে বেড়েছে পড়ুয়াদের অনুপস্থিতি। রায়গঞ্জ (Raiganj) থেকে দুর্গাপুর (Durgapur) ছবিটা একই রকম। কেন বদলে গেল পরিস্থিতি?
সুদীপ চক্রবর্তী ও মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়: করোনা আবহে (Corona Situation) দীর্ঘদিন পর খুলেছে স্কুল (School)। কিন্তু বহু স্কুলেই কমেছে পড়ুয়ার সংখ্যা। রায়গঞ্জ (Raiganj) থেকে দুর্গাপুর (Durgapur) ছবিটা একই রকম। কোথাও লকডাউনে (Lockdown) ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া পড়ুয়ারা ফিরতে পারেনি। কোথাও স্কুলের পোশাক, জুতোর অভাবের কথা বলছেন অভিভাবকরা। পড়ুয়াদের ফেরাতে শুরু হয়েছে উদ্যোগ।
লকডাউন, করোনা- গত দু’বছরে এই শব্দগুলো পাল্টে দিয়েছে অসংখ্য মানুষের জীবন। বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে বহু পড়ুয়ার। করোনা আবহে দীর্ঘদিন পর খুলেছে স্কুল। পড়ুয়াদের মধ্যে ফিরেছে একসঙ্গে ক্লাস করার আনন্দ। কিন্তু প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো স্কুলে স্কুলে বেড়েছে পড়ুয়াদের গরহাজিরাও। উত্তর দিনাজপুর থেকে পশ্চিম বর্ধমানে, ছবিটা একই রকম।
সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন জগদীশনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, তাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়-সহ একাধিক স্কুলে বেড়েছে পড়ুয়াদের অনুপস্থিতি। কিন্তু কেন বদলে গেল ছবিটা? পরিবার সূত্রে খবর লকডাউনে বেহাল হওয়া সংসারের হাল ধরতে ভিনরাজ্যে গিয়ে আর ফেরা হয়নি পড়ুয়াদের।রায়গঞ্জের বাসিন্দা তথা ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া এক ছাত্রের মা বলেন, “সংসারে অনটন। তাহেরপুর স্কুলে পড়ে।হাল ধরতে ছেলে দিল্লিতে কাজে গেছে। লকডাউনে স্কুল বন্ধ। শাটারিংয়ের কাজ। দুজন রোজগার করি। ছেলে রোজগার না করলে আর হচ্ছে না।’’
রায়গঞ্জের এক বাসিন্দা রাজু বর্মন বলেন, “গ্রামে দুঃস্থ। লকডাউনে পরিবারের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন গ্রামের বেশিরভাগ ছেলে বাইরে কাজ করে। ৩৫ শতাংশের বেশি ছেলে বাইরে। ওরা পড়া করত। এখন ফিরলেও, স্কুলে যেতে পারবে কী। সরকারি সুবিধে পেলে হয়তো স্কুলে যাবে।’’
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, তারা চেষ্টা করছে পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরানোর। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নিতাইচন্দ্র দাস বলেন, শনিবার করে অনুপস্থিত পড়ুয়াদের তালিকা তৈরি করে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করছি। বিশেষ নজর থাকবে যে সমস্ত পরিবারের ছেলেরা বাইকর আছে। সরকারের বিভিন্ন স্কিমের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সুরাহার চেষ্টা করব। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড । অর্থের সমস্যা দূর করার। পড়াশোনা কেন দরকার বোঝাব।’’
একই ছবি পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরেও। স্কুলছুট পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে আসরে নেমেছেন প্রধান শিক্ষক। নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কলিমুল হক বলেন, “২০ মাস পরে স্কুল খুললেও, অনেকে স্কুল যাচ্ছে না। কেন যাচ্ছে না জানতে এসেছি।পোশাক, বই না থাকলে ব্যবস্থা করবে। স্কুল যাবে আশা করছি। পানাগড়, দুর্গাপুর, অন্ডাল থেকে স্কুলে আসে। শুনেছিলাম অনেকে কাজ করছে। কিন্তু তেমন কিছু পাইনি এখনও।’’