Salary Portal Problem: বেতন পোর্টাল নিয়ে ধন্দ, শিক্ষা দফতরের স্পষ্ট নির্দেশ দাবি প্রধান শিক্ষকদের
SSC Case: কেউ চাকরি পেয়ে ঋণ নিয়ে মাথার ওপর একটা ছাদ তৈরি করেছিলেন, কারও ওপরে গোটা সংসারের ভার।

কলকাতা: বেতনের জন্য় খুলে গেছে পোর্টাল। ওই পোর্টালে নাম রয়েছে চাকরিহারা (SSC Case) শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মীদের। তাঁদের নাম স্কুল কর্তৃপক্ষ সাবমিট করবে? কি করবে না? রীতিমত ধন্দে পড়তে হচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের। তাঁদের একাংশের দাবি, এনিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিক শিক্ষা দফতর। এদিকে, বেতন না পেলে কীভাবে সংসার চলবে!? কিছু ভাবতে পারছেন না অসহায় চাকরিহারারা।
ধন্দে স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা: কেউ চাকরি পেয়ে ঋণ নিয়ে মাথার ওপর একটা ছাদ তৈরি করেছিলেন, কারও ওপরে গোটা সংসারের ভার। কিন্তু, আগামী মাস থেকে বেতন বন্ধ হয়ে গেলে কী হবে? চাকরিহারা অসংখ্য় যোগ্য় শিক্ষক-শিক্ষিকার জীবনে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ইন্টিগ্রেটেড অনলাইন স্য়ালারি ম্য়ানেজমেন্ট সিস্টেম, শিক্ষক - অশিক্ষককর্মীদের বেতনের পোর্টাল। সূত্রের খবর, প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্য়ে, এখানে তথ্য় জমা দিয়ে বেতনের জন্য় আবেদন করতে হয়। তার ভিত্তিতেই মাসের শেষে বেতন ঢোকে। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, যেদিন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীর চাকরি চলে যায়, সূত্রের খবর, সেদিনই এই পোর্টাল বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার, রাজ্য়জুড়ে চাকরিহারাদের তরফে যে DI অফিস অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল, তার অন্য়তম কারণ ছিল, এই পোর্টাল বন্ধ হয়ে যাওয়া।
এরইমধ্য়ে, বুধবার বিকেলেই খুলে দেওয়া হয় পোর্টাল। সেখানে চাকরিহারাদের নামও রয়েছে। কিন্তু পোর্টালে সাবমিশন নিয়ে রীতিমত ধন্দে পড়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক রাজা দে বলেন, "আমাদের স্কুলে যারা ছিল ২ জন টিচারকে নিয়ে কন্ট্রোভার্সি। আমি সবার নাম সাবমিশন করে দিয়েছি।'' যোধপুর পার্ক বয়েস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, "যোগ্য় অযোগ্য় সবারই নাম আছে পোর্টালে। আমি সব পাঠিয়ে দিয়েছি।''
রাজ্য় সরকার সূত্রে খবর, আপাতত পোর্টাল খোলা হয়েছে। ২-১ দিনের মধ্য়ে এই নিয়ে স্পষ্টভাবে সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে। অ্য়াডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্য়ান্ড হেডমিস্ট্রেসের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "আমাদের এই মুহূর্তে লিখিত অর্ডার ভীষণরকমের প্রয়োজন। ব্য়াপারটা যতক্ষণ না পরিষ্কার করছে, আমরা তাঁদের বেতন ঢোকাতে গিয়ে ধন্দে পড়ছি। এই ধন্দ পরিষ্কার করার দায়িত্ব শিক্ষা দফতরের, রাজ্য় সরকারের। তাঁদের নাম দেখা যাচ্ছে, কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।''
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
