Sandeshkhali News : বিরোধীদের বাউন্ডারিতেও পা রাখতে দেওয়া হয়নি, কাল ৩ মন্ত্রী যাচ্ছেন সন্দেশখালি
Sandeshkhali Incident : 'মানুষের ক্ষোভ কমাতে' আগামীকাল সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। সেখানে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিন মন্ত্রী।
সমীরণ পাল, উত্তর চব্বিশ পরগনা : ৪৩ দিন পর এখনও অধরা শেখ শাহজাহান ( Sheikh Shahjahan )। ফুঁসছে সন্দেশখালি ( Sandeshkhali )। উত্তপ্ত লাভার মতো ক্ষোভের উদ্গার করছেন সন্দেশখালির মহিলারা। পুরুষদের উপর অত্যাচার, নারী নির্যাতনের মতো অভিযোগ উঠছে শাহজাহান বাহিনীর উপর। আর তা নিয়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতি। সন্দেশখালিতে প্রবেশ তো দূরে থাক, তার ধারেপাশেও ঘেঁসতে দেওয়া হয়নি বিরোধী দলগুলিকে। রুখে দিয়েছে পুলিশ। অশান্তির পারদ উঠেছে চরমে। তারই মধ্যে 'মানুষের ক্ষোভ কমাতে' আগামীকাল সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী।
সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকে ন্যাজাট থানা এলাকায় সেহেরা-রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেয়ারা বাজারে যাবেন ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসুরা। সেখানে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিন মন্ত্রী।
সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা আছে। সেই কারণ দর্শিয়ে শুক্রবার বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিনিধিদের এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে আটকে দেওয়া হয় ধামাখালির রামপুরেই। পুলিশ বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় তাদের পথ। এর জন্য পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা থেকে ধস্তাধস্তি বেণধে যায়। তবু লাভ হয়নি কিছুই। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর পর বিজেপির ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও সন্দেশখালিতে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। কিছুক্ষণ অবস্থানে বসার পর, ফিরে এসে রাজ্য়পালের সঙ্গে দেখা করেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য়রা। তারপর পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় অধীর চৌধুরীকেও। এই আবহেই সেখানে যাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা।
এরই মধ্যে খবর, গ্রামবাসীদের ক্ষোভ প্রশমনে তিনদিন ধরে সন্দেশখালির গ্রামে গ্রামে ঘুরছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। শুনছে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের কথা। শিবু-উত্তমদের কাছ থেকে কেউ টাকা পান কি না, কত টাকা বাকি রয়েছে, এসবই জানতে চাওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদের কাছে। দল বা পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে নয়, মানুষের ক্ষোভ ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে, দাবি তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের। এও আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, যদি কেউ উত্তম সর্দারের থেকে টাকা পান, তাহলে তাও ফেরত দেওয়া হবে। টাকা দেবে উত্তমের পরিবার।
কেন্দ্রের জানিয়েছেন, সন্দেশখালির পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে, জানালেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ এবং আদিবাসী বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, গত ১০ বছরে মোদি সরকার মহিলাদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আরও পড়ুন :
নিজের বাড়িতেই নৃশংসভাবে খুন বালক, নেপথ্যে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে ঝগড়া?