Omicron: ফের ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার নিয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
Omicron Outbreak: এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এপিডেমিওলজিস্ট মারিয়া ভ্যান খেরখোভ বলেছেন যে এখনও বিশ্বজুড়ে এখনও তীব্রতার সঙ্গেই ছড়িয়ে চলেছে ওমিক্রন।
নয়া দিল্লি: ফের করোনা নিয়ে সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চলতি বছরে ওমিক্রনের প্রভাব ক্রমশ কাটিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছিল বিশ্ব। কিন্তু এর মধ্যেই চিন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়বাড়ন্ত করোনার। চিনের একাধিক প্রদেশে লকডাউনও হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এপিডেমিওলজিস্ট মারিয়া ভ্যান খেরখোভ বলেছেন যে এখনও বিশ্বজুড়ে এখনও তীব্রতার সঙ্গেই ছড়িয়ে চলেছে ওমিক্রন। চিনে যেমন গত দু বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে সাম্প্রতিক দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
চিকিৎসকের কথায়, কয়েক সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও বিশ্বে ফের বাড়ছে কোভিড। তবে ফের কমেছে করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও। তিনি সতর্ক করেছেন যে টিকা নেওয়ার সংখ্যা বাড়লেও যেখানে বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করেছে। তিনি এও বলেন, ভ্যাকসিনগুলি গুরুতর রোগ এবং মৃত্যু কমাতে কার্যকর, কিন্তু সংক্রমণ নয়।
মারিয়া ভ্যান খেরখোভের মতে, ওমিক্রন বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাবশালী স্ট্রেন। মূলত এটির অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য প্রকৃতির কারণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মারিয়া ভ্যান খেরখোভ বলেছেন যে মৃত্যুর হার "এখনও অনেক বেশি"। এদিকে, চিনের পর এবার কোভিডের ভয়ঙ্কর রূপ দক্ষিণ কোরিয়ায়। একদিনে ৪ লক্ষর বেশি সংক্রমণ। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হলেন ৪ লক্ষ ৭৪১ জন জন। গত বছর জানুয়ারিতে প্রথম সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর যা সর্বাধিক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন, বয়স্কের জন্য দু:সংবাদ, রেলযাত্রায় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন প্রবীণরা
নতুন করে এত সংখ্যক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৭,৬২৯,২৭৫। এমনই জানিয়েছে সাউথ কোরিয়া কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সি। এদিকে অতিমারী ছড়িয়ে পড়ার পর গত মঙ্গলবার সবেথেকে বেশি মৃতের সংখ্যা দেখা যায় এখানে। একদিনে মৃত্যু হয় ২৯৩ জনের। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সূত্রের এমনই খবর।