রাহুল বনাম মোদি: কার সাফল্যের পিছনে কী কী ফ্যাক্টর কাজ করতে পারে, ইঙ্গিত মিলল এবিপি আনন্দ-সি ভোটার যৌথ সমীক্ষায়
নয়াদিল্লি: এখনই লোকসভা ভোট হলে ফল কী হতে পারে, এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের যৌথ সমীক্ষায় আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেছি আমরা! সমীক্ষায় একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট, ২০১৪-র তুলনায় মোদি নেতৃত্বাধীন জোটের ফল খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত হলেও, সরকার গড়ার রেসে কংগ্রেসের চেয়ে তারা ঢের এগিয়ে। কিন্তু, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু হয় না। তাই লোকসভা ভোটের আগে কে কোন দিকে যাবে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের সমীক্ষায় এরকম কিছু সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমরা। যেমন, রাজনৈতিক সমীকরণ কী হলে ২০১৯-এ রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বাধীন জোটের ফল ভাল হলেও হতে পারে।
-যদি অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নায়ড়ুর টিডিপির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়
-যদি অসমে কংগ্রেস এবং AIDUF জোট বাধে
-যদি বিহারে কংগ্রেস-আরজেডি জোটের সঙ্গে বর্তমানে এনডিএ-তে থাকা LJP এবং RLSP হাত মেলায়
-যদি ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চাও জোট বাধে
-যদি কর্ণাটকে কুমারস্বামীর জেডিএসের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়
-যদি, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি জোট হয় এবং শিবসেনা আলাদা পথে হাঁটে
-যদি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে মায়াবতী ও অখিলেশের জোট হয়
-এবং পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মেলায় কংগ্রেস
তাহলে বিজেপিকে কড়া টক্কর দিতে পারে তারা। এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের সমীক্ষায় ইঙ্গিত, ওপরের এইসব সমীকরণ মিলে গেলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন UPA ২৪৪টি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA ২২৮টি। এবং অন্যান্য দল ৭১টি আসন পেতে পারে।
তবে সব রাজনৈতিক সমীকরণ কংগ্রেসের পক্ষেই যাবে, এমনটা তো আর জোর গলায় কেউ বলতে পারে না। কারণ, বিজেপিও মরিয়া চেষ্টা করবে রাজনৈতিক সমীকরণকে তাদের অনুকূলে করার।
-যদি জোটধর্ম মেনে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা বিজেপির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে
-যদি উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী একা লড়ার সিদ্ধান্ত নেন
-এবং যদি তেলঙ্গানায় চন্দ্রশেখর রাওয়ের TRS বিজেপির সঙ্গে জোট বাধে,
তাহলে কিন্তু মোদির হাসি আরও চওড়া হওয়ার ইঙ্গিত। এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী এই সব সমীকরণ মিলে গেলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA ৩৩১টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-কে মাত্র ১০০টি আসন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতে পারে অন্যান্যর ঝুলিতে যেতে পারে ১১২টি আসন।
মায়াবতী ইতিমধ্যেই সনিয়া-রাহুলকে ভাল বলেও, দিগ্বিজয় সিংহকে দুষে মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না বাধার ঘোষণা করেছেন। ছত্তীসগঢ়েও মায়াবতী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেননি। কংগ্রেস দাবি করছে, মায়াবতীকে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে, তাই তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধছেন না। মায়াবতী এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও, যদি শেষপর্যন্ত দেখা যায় ৮০টি লোকসভা আসন বিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তাহলে কিন্তু বিজেপির হাসি চওড়া হওয়ারই জোরালো সম্ভাবনা বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।