World News:২০২২ সালেও LAC-তে সেনা মোতায়েন এবং পরিকাঠামো নির্মাণে জোর দেয় চিন, দাবি পেন্টাগনের রিপোর্টে
China Infrastructure Boost Near LAC:ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি, তার মধ্যেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সামরিক শক্তিবৃদ্ধি এবং পরিকাঠামো নির্মাণের দিকে নজর দিয়েছিল চিন।
নয়াদিল্লি: ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি, তার মধ্যেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (China Infrastructure Boost Near LAC) বরাবর সামরিক শক্তিবৃদ্ধি এবং পরিকাঠামো নির্মাণের দিকে নজর দিয়েছিল চিন। দাবি করা হল পেন্টাগনের নতুন রিপোর্টে। 'মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভলপমেন্টস ইনভলভিং আদ্য পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না' শীর্ষক রিপোর্টে পেন্টাগন জানিয়েছে, ২০২২ সালে মাটির নিচে গুদাম, নতুন সড়ক, ডুয়াল পারপাস বিমানবন্দর এবং একাধিক হেলিপ্যাড বানায় চিন।
আর যা...
২০২০ সালের জুন মাসে গলওয়ান উপত্যকায় দু'দেশের সেনার মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার পর ভারত-চিন সম্পর্কের তিক্ততা চরমে পৌঁছয়। পেন্টাগনের হালের রিপোর্ট অনুযায়ী, '২০২০ সালের মে মাস থেকে চলতে থাকা ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষে ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের টানা নজর ছিল। একে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ভারত এবং চিনের আলাদা ভাবনা, তার উপর দু'তরফেই পরিকাঠামো নির্মাণ ও সেনা মোতায়েন, একাধিক সংঘর্ষ ও স্ট্যান্ড অফ তৈরি করে।' রিপোর্টে আরও সংযোজন, গলওয়ান সংঘর্ষের পর এলএসি বরাবর বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছিল বেজিং। পেন্টাগনের পূর্বাভাস, এই সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া এই বছরও সম্ভবত জারি থাকবে। শুধু এটুকু নয়, রিপোর্টে যে বিশ্লেষণ হয়েছে সেটি অনুযায়ী টানা কথাবার্তা সত্ত্বেও নয়াদিল্লি-বেজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের 'সামান্য উন্নতি হয়েছে কারণ দু'পক্ষের কেউই সীমান্তে নিজেদের ভাবনায় থাকা সুবিধাজনক অবস্থান থেকে সরতে রাজি নয়।'
চিন সম্পর্কে...
২০২২ সালেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা পরিকাঠামো তৈরি জারি রেখে চিন। ডোকলামের কাছে আন্ডারগ্রাউন্ড স্টোরেজ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার তিনটি সেক্টরের সঙ্গে সংযোগস্থাপনকারী তিনটি সড়ক, ভূটানের বিতর্কিত এলাকার কাছে নতুন গ্রাম, প্যাংগং হ্রদের কাছে দ্বিতীয় সেতু, একাধিক হেলিপ্যাড এই পরিকাঠামোগুলির অন্যতম।' পাল্লা দিয়ে সেনা মোতায়েনও করে যায় বেজিং। ২০২২ সালেই যেমন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওয়েস্টার্ন সেক্টরে বিপুল সেনা মোতায়েল করে তারা, জানানো হয়েছে পেন্টাগনের রিপোর্টে। ইস্টার্ন সেক্টর এবং সেন্ট্রাল সেক্টরেও সেনা মোতায়েন করা হয়, সংযোজন রিপোর্টে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে চলতি বছর জুন মাসেই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছিলেন, দু'পক্ষের মধ্যে সমস্যা সমাধানে সামরিক এবং কূটনৈতিক দু'স্তরেই কথা বলছে নয়াদিল্লি-বেজিং। একই সঙ্গে জানান, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার প্রশ্নে কোনও আপস না করতেও বদ্ধপরিকর সরকার। এর মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা শক্তি এবং সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণের এই রিপোর্ট।
আরও পড়ুন:কুণাল ঘোষের পাড়ার পুজোয় অঞ্জলি রাজ্যপালের, হল আলাপচারিতাও