Arvind Kejriwal Update: সরকারি দফতরে শুধুই অম্বেডকর-ভগৎ সিংহের ছবি, ঘোষণা কেজরিওয়ালের
Arvind Kejriwal Update: কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘শিক্ষার কোনও শর্টকাট হয় না। আমাদের পরিশ্রম করতে হবে এবং প্রত্যেক শিশুকে শিক্ষার আলোর দিকে এগিয়ে দিতে হবে।’’
নয়াদিল্লি: কোনও রাজনীতিকের ছবি নয়, দিল্লির সরকারি দফতরগুলিতে শুধুমাত্র বাবাসাহেব অম্বেডকর (BR Ambedkar) এবং ভগৎ সিংহের (Bhagat Singh) ছবি ঝোলানোর নিদান দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2022) আগে মঙ্গেলবার দিল্লি সরকারের বিশেষ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই এমন ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কোনও সরকারি দফতরে ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও ঝোলানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এ দিন বক্তৃতা করতে গিয়ে অম্বেডকরের নিজেকে অম্বেডকরের আদর্শে অনুপ্রাণিত বলে দাবি করেন কেজরিওয়াল। জানান, দলিত পরিবারে জন্মানো অম্বেডকর দেশের সংবিধানের রচনা করেছিলেন। ভগৎ সিংহ ছিলেন বিপ্লবী, স্বাধীনতা সংগ্রামী। কিন্তু ভিন্ন ক্ষেত্র থেক উঠে এলেও তাঁদের লক্ষ্য ছিল একই।
সরকারি দফতরে ছবি ঝোলানোর নয়া নীতি ঘোষণা করতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘আজ আমি ঘোষণা করছি যে, দিল্লি সরকারের প্রত্যেক দফতরে বাবাসাহেব অম্বেডকর এবং শহিদ-ই-আজম ভগৎ সিংহের ছবি ঝোলানো থাকবে। তাঁদের নীতি এবং আদর্শ মেনেই কাজ করবে আমাদের সরকার। কোনও রাজনীতিকের ছবি থাকবে না সরকারি দফতরে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও নয়।’’
আরও পড়ুন: National Voters' Day: জাতীয় ভোটার দিবসে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর পক্ষে সওয়াল মোদির
অম্বেডকরের কথা বলতে গিয়ে কেজরিওয়াল জানান, আজ থেকে ১০০ বছর আগে ইন্টারনেট ছিল না। সেই সময় অম্বেডকর কী ভাবে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করলেন, লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিকস-এই বা কী ভাবে যাওয়ার সুযোগ পেলেন, তা ভেবে আশ্চর্য বোধ করেন তিনি। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, দেশের সংবিধান রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল অম্বেডকরের। তিনি দেশের প্রথম আইনমন্ত্রীও। তিনি শিশুদের উচ্চমানের শিক্ষাপ্রদানের স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এই প্রজাতন্ত্র দিবসে অম্বেডকরের সেই স্বপ্নপূরণের জিম্মা কাঁধে তুলে দেন কেজরিওয়াল।
সামনে পাঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানেও উচ্চমানের শিক্ষায় জোর দেওয়ার কথা বলেন কেজরিওয়াল। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেক শিশু উন্নত মানের শিক্ষা পেলে তবেই ভারত শীর্ষে উঠে আসবে। নির্বাচনে যতই লম্বা-চওড়া প্রতিশ্রুতি দেওয়া হোক না কেন, শিক্ষার কোনও শর্টকাট হয় না। আমাদের পরিশ্রম করতে হবে এবং প্রত্যেক শিশুকে শিক্ষার আলোর দিকে এগিয়ে দিতে হবে।’’