(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Calcutta HC on post-poll violence: 'কেউ ঘরে ফিরতে চাইলে তাঁকে ফেরানোর দায়িত্ব রাজ্যের', ঘরছাড়াদের মামলায় মন্তব্য হাইকোর্টের
'স্বাধীনভাবে চলা ফেরা করা মানুষের অধিকার', বলেছেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্য়ায়
কলকাতা: স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা মানুষের অধিকার। কেউ ঘরে ফিরতে চাইলে তাঁকে ফেরানোর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।
ভোট-পরবর্তী হিংসার জেরে ঘরছাড়াদের, ঘরে ফেরানো মামলায় সোমবার এই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। এনিয়ে ৩ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করল আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চ।
কমিটিতে রয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন ও স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির তিন সদস্য।
বিধানসভা ভোট পরবর্তী অশান্তির পর, ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়। এরইমধ্যে, একটি মামলা করেন, এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তারই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের এই নির্দেশ।
এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্য়ায় বলেন, "স্বাধীনভাবে চলা ফেরা করা মানুষের অধিকার, কেউ ঘরে ফিরতে চাইলে তাকে ফেরানোর কাজ রাজ্যকে ই করতে হবে।"
তবে, এই কমিটি শুধুমাত্র এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় থানার সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে ঘরছাড়াদের ফেরানোর ব্যবস্থা করবে এই কমিটি।
হাইকোট নির্দেশ দিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে স্টেট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির ইমেলে, ঘরছাড়াদের তথ্য পাঠাতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ জুন।
ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে ২ মে। বাংলার মানুষের রায়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ভোট মিটলেও অশান্তি থামেনি। যুযুধান সবপক্ষই, পরস্পরের দিকে আঙুল তুলছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক রং না দেখে হিংসায় মৃতদের পরিবারপিছু দু’লক্ষ টাকা করে সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি, তাঁর অভিযোগ, যেখানে বিজেপি জিতেছে, সেখানেই অশান্তি বেশি হচ্ছে। রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তি দমন করতে তাঁর প্রশাসন যে পিছুপা হবে না, শপথের পরেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি অবশ্য বলছে, গত দশ বছরের হিংসার ট্র্যাডিশন বজায় রেখেছে তৃণমূলই।
রাজ্যের ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে এর আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ট্যুইটে লিখেছিলেন, ভোটের পর থেকে ধারাবাহিক, হৃদয় বিদারক যে সমস্ত হিংসার রিপোর্ট আসছে তাতে উদ্বিগ্ন বোধ করছি। এ ধরনের হিংসার ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেভাবে ভেঙে পড়েছে, তাতে এ ধরনের ঘটনাকে উপেক্ষা করা বা উত্সাহ দেওয়া কাম্য নয়।