Local Train service Update: লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরুর আগে হাওড়া ও শিয়াদহে শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি, চলছে স্যানিটাইজেশন
রাজ্য সরকারের অনুরোধেই এরাজ্যে লোকাল (Local train) ট্রেন বন্ধ ছিল। এবার রাজ্য গ্রিন সিগনাল দিয়ে দেওয়ায়, রবিবার থেকেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়ে যাচ্ছে। স্টেশনে স্টেশনে শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি।
কলকাতা: কাল থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন (Local train service) চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার আগে শিয়ালদা স্টেশনে (Sealdah station) চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। চলছে স্যানিটাইজেশনের (Sanitization) কাজ। হাওড়া (Howrah) স্টেশনেও দিনভর চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ।
করোনা আবহে ১৭৮ দিন পর, রবিবার থেকে সর্বসাধারণের জন্য ফের গড়াবে লোকাল ট্রেনের চাকা। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত আগেই দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার আগে শনিবার হাওড়া ও শিয়ালদায় দেখা গেল লোকাল ট্রেন চালুর প্রস্তুতি চরমে। প্রতিদিন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী যাতায়াত করেন শিয়ালদা স্টেশন দিয়ে। এদিন সেখানে গিয়ে দেখা গেল, স্টেশনে ঢোকার পর ট্রেনগুলিতে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে।
শুধু স্যানিটাইজেশন নয়। করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়াতে না পারে, তার জন্য যাত্রীদের সচেতন করার কাজও করবে রেল। পাশাপাশি করোনাবিধি মানা নিয়ে চলছে কড়া নজরদারি। চূড়ান্ত ব্যস্ততা হাওড়াতেও। বামুনগাছি EMU রেলইয়ার্ডে চলছে লোকাল ট্রেনগুলির স্যানিটাইজেশন। সামাজিক দূরত্ববিধি মানতে, ট্রেনের কোথায় বসতে হবে, আর কোথায় বসা নিষেধ, তা স্টিকার লাগিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে।
অবশেষে রবিবার থেকেই রাজ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। প্রায় ৬ মাস পর লোকাল ট্রেন চালানোয়, গ্রিন সিগনাল দিল নবান্ন (Nabanna)। শুক্রবার নবান্নর তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কোভিড বিধি-নিষেধ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে। তারপর সেসব ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এই নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে, মোট আসনের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেক যাত্রী নিয়ে রাজ্যের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু করা যেতে পারে।
রাজ্য সরকারের অনুরোধেই এরাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ ছিল। এবার রাজ্য গ্রিন সিগনাল দিয়ে দেওয়ায়, রবিবার থেকেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়ে যাচ্ছে। স্টেশনে স্টেশনে শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় ৫ মে লোকাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে দু’সপ্তাহের জন্য লোকাল ট্রেন বন্ধ করা হয়।
পরে দফায় দফায় ট্রেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়। পুজোর সময়ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধই ছিল। চলেছে কিছু স্পেশাল ট্রেন। কর্মস্থল খুলে গেলেও, পুরোদমে লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায়, এতদিন গন্তব্যে পৌঁছতে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বহু মানুষকে। অবশেষে নবান্ন লোকাল ট্রেন চলাচলে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ায় খুশি যাত্রীরা।
লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে ঠিকই। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে এরাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা যে হাজার ছুঁইছুঁই, সেটাও ভুললে চলবে না। তাই যাত্রীদের সমস্ত রকম সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার সময়, প্রায় সাড়ে সাত মাস বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় রাজ্যে প্রায় ছ’মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে রবিবার থেকে গড়াতে চলেছে লোকাল ট্রেনের চাকা।