Indian Currency: সব ৫০০ টাকার নোট, ভারতীয় অর্থনীতি থেকে গায়েব ৮৮ হাজার কোটি! RTI তথ্য নিয়ে মুখ খুলল RBI
Rs 500 Notes: বিশিষ্ট সমাজকর্মী মনোরঞ্জন রায় সম্প্রতি তথ্য জানার আইনে আবেদন জানিয়েছিলেন।
নয়াদিল্লি: নোটবন্দির পর নতুন ২ হাজার টাকার নোটও বাতিল বলে ঘোষণা হয়েছে। তবে নয়া ৫০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। সেই আবহেই তথ্য জানার অধিকার আইনে প্রাপ্ত একটি তথ্য সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে, যাতে বলা হয়, ৫০০ টাকার নোটে ৮৮,০৩২.৫ কোটি টাকার কোনও হদিশ নেই। সেই নিয়ে কাটাছেঁড়ার মধ্যে এবার মুখ খুলল RBI. তাদের দাবি, তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে (Indian Currency)।
বিশিষ্ট সমাজকর্মী মনোরঞ্জন রায় সম্প্রতি তথ্য জানার আইনে আবেদন জানিয়েছিলেন (Rs 500 Notes)। মনোরঞ্জন জানান, উত্তরবাবদ তাঁকে জানানো হয়, টাঁকশালে ৮,৮১০.৬৫ মিলিয়ন ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হয়, ৭,২৬০ মিলিয়নই RBI-এর হাতে ওঠে বলে উত্তর আসে। অর্থাৎ বাকি ৮৮,০৩২.৫ কোটি টাকা মূল্যের নোট ভারতীয় অর্থনীতি থেকে গায়েব বলে উঠে আসে। সেই নিয়ে RBI এবং কেন্দ্রীয় সরকার প্রশ্নের মুখে পড়ে।
Clarification on Banknote pic.twitter.com/PsATVk1hxw
— ReserveBankOfIndia (@RBI) June 17, 2023
শনিবার রাতে এ নিয়ে বিবৃতি জারি করে RBI. তাদের দাবি, নোট গায়েব বলে কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। এই খবর সত্য নয়। ২০০৫ সালের তথ্য জানার অধিকার আইনে টাঁকশাল নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়, তার ভুল ব্য়খ্যা হয়েছে। টাঁকশাল থেকে RBI-এর হাতে যে পরিমাণ নোট এসেছে, সবের হিসেব রয়েছে। নোট ছাপানো থেকে গচ্ছিত রাথা এবং বাজারে বেরনো, গোটাটাই নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।
বর্তমানে দেশের তিন সরকারি টাঁকশালে নোট ছাপা হয়, বেঙ্গালুরুর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট মুদ্রণ (পি) লিমিটেড, নাসিকের কারেন্সি নোট প্রেস এবং মধ্যপ্রদেশের দেওসের ব্যাঙ্ক নোট প্রেসে। এর মধ্যে ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত টাঁকশালে ছাপানো ১,৭৬০.৬৫ মিলিয়ন ৫০০ টাকার নোটই গায়েব বলে RTI মারফত জানতে পারেন মনোরঞ্জন। নাসিকের টাঁকশালে নোট ছাপানোর উল্লেখ থাকলেও, RBI-এর বার্ষিক রিপোর্টে নোটপ্রাপ্তির উল্লেখ মেলেনি।
RTI-এর তথ্য তুলে ধরে মনোরঞ্জন জানান, ২০১৬-'১৭ সালে নাসিকের টাঁকশাল থেকে ১,৬৬২.০০০ মিলিয়ন নতুন ৫০০ টাকার নোট ছাপিয়ে পাঠানো হয় RBI-এর কাছে। বেঙ্গালুরুর টাঁকশাল থেকে ৫,১৯৫.৬৫ মিলিয়ন এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে ১,৯৫৩.০০০ মিলিয়ন নোট পাঠানো হয়। কিন্তু RBI ৭,২৬০ মিলিয়ন নোটপ্রাপ্তির হিসেবই দেখিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল ইকনমিক ইনটেলিজেন্স ব্যুরো, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে চিঠি লিখেছেন মনোরঞ্জন।